বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেছেন, “শেখ হাসিনা খুবই গণতান্ত্রিক ছিলেন। কেননা তিনি একা লুটপাট করেননি, সঙ্গে পরিবার, আত্মীয় স্বজন ও দলীয় নেতাদেরও লুটপাট করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তারা লুটপাট করে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাঠিয়েছেন।”

শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন বলেন, “জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরচারের পতন হয়েছে। শুধু তাই নয়, স্বৈরচার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।”

আরো পড়ুন:

যে কোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে: তারেক রহমান

দানব আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: রিজভী

তিনি বলেন, “পিরোজপুরে নতুন রাজনৈতিক দলের নেতা ও এক সমন্বয়ক চাঁদার দাবিতে মডেল মসজিদ ভাঙচুর করেছেন। এর আগে পেট্রোল পাম্পে আগুন দিয়েছেন। তিনিও ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। এভাবেই আওয়ামী লীগের দোসরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আমাদের সবাইকে মিলে এদের প্রতিহত করতে হবে।”

নাজিরপুর উপজেলা সদরের সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো.

মিজানুর রহমান দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত  ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানা, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আবু হাসান খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম ফরাজী, পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান শরীফ, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এইচ এম শামীম হাসান ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম।

ঢাকা/তাওহিদুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আওয় ম ল গ ব এনপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম যদি মানুষের প্রয়োজনে না আসে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে না পারে, শিশুদের জন্য নিরাপদ জীবন গড়ে দিতে না পারে, তাহলে সে সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে ‘গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

আমরা বিএনপি পরিবার আর মায়ের ডাক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শিশুদের (গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্তান) পুনর্বাসনের জন্য একটি স্পেশাল সেল গঠন করবে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কাজটি হয়নি। আশা করব, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য কিছু করবে।’

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘একটি কমিশন করা হয়েছে। এই কমিশন এখন পর্যন্ত একটা রিপোর্ট নাকি করেছে। কিন্তু তাদের এই যে খোঁজ করা, এ বিষয়ে খুব বেশি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।’

গুমের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে এলে ‘ভারাক্রান্ত হন’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ পরিবারগুলো যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, আমরা কিন্তু সেই ত্যাগ অনেকেই করতে পারিনি। যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিশুদের বলতে শুনি যে আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই, বাবার হাত ধরে স্কুলে যেতে চাই, ঈদের মাঠে নামাজ পড়তে যেতে চাই, তখন আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’

গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে, ২৯ জুলাই

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমাদের কাছে এসে সমস্যার কথা বলছে মানুষ: মির্জা ফখরুল
  • মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল