ট্রান্সকম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ট্রান্সকম ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ট্রান্সকম বেভারেজেস লিমিটেড, ট্রান্সকম ফুডস লিমিটেডসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে বার্ষিক লভ্যাংশের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্রদান করেছে। মোট ১ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৬ টাকা সরকার নির্ধারিত এই তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রান্সকম গ্রুপের পক্ষ থেকে এই চেক গ্রহণ করেন। ট্রান্সকম গ্রুপের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সকম লিমিটেডের করপোরেট মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মো.

সাব্বির আলী, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মানবসম্পদ প্রধান মো. রফিকুল ইসলাম ও ট্রান্সকম লিমিটেডের অর্থ বিভাগের উপব্যবস্থাপক এইচ এম রুমান উদ্দিন। অনুষ্ঠানে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. মুনির হোসেন খান এবং অন্যান্য গুরুত্ব ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। খবর বিজ্ঞপ্তি।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান ট্রান্সকম গ্রুপের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ট্রান্সকম গ্রুপ শুরু থেকেই নৈতিকতার মানদণ্ড মেনে চলে। ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত লতিফুর রহমান থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি সৎ ও দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক নীতি মেনে চলে আসছে। তিনি আরও বলেন, ট্রান্সকমের এই অবদান দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে এবং বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে শ্রমিক কল্যাণে এগিয়ে আসার অনুপ্রেরণা জোগাবে।

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের এই তহবিল থেকে অসহায় শ্রমিকদের সহায়তা, মৃত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য অনুদান, শিক্ষাবৃত্তি ও জরুরি চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য অর্থ ব্যয় করা হয়। ট্রান্সকম গ্রুপ ভবিষ্যতেও শ্রমিকদের কল্যাণে এ ধরনের সামাজিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তহব ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ