ইএফটি বিড়ম্বনায় বেতন-বোনাস পরিশোধ না করা শিক্ষকদের ওপর নির্মমতা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম বিপ্লব এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।

নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, ইএফটিতে বেতন প্রক্রিয়া চলমান রাখার অজুহাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চার মাস অতিবাহিত হচ্ছে। কিন্তু বেতন-ভাতাদি দেওয়া হচ্ছে না। এতে শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকারি-বেসরকারি সকল দপ্তরের বেতন হচ্ছে অথচ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন হচ্ছে না। ইএফটি প্রক্রিয়ার কাজ সম্পাদন করার পাশাপাশি বেতন চলমান রাখা উচিত ছিল।

তারা বলেন, ইএফটি প্রক্রিয়ায় কাজ বেতন আনতে দেশের আর কোনো সরকারি খাতের কর্মচারী-কর্মকর্তাগণ এমন বিড়ম্বনা ও নির্যাতনের শিকার হয়নি। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ওপর যা করা হচ্ছে তা ক্রীতদাস প্রথাকেও হার মানিয়েছে। সরকারের মধ্যে অবস্থান করা কোনো এক কুচক্রী মহল সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এমন সব পদক্ষেপ হয়তো নিচ্ছেন। এসব হীন অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নেতৃবৃন্দ চলতি সপ্তাহে অর্থাৎ ২৭ মার্চের মধ্যে মার্চ মাসের বেতন, উৎসব বোনাসসহ সকল প্রকার পাওনা পরিশোধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। এর ব্যত্যয় ঘটলে ক্লাস বর্জনসহ পরীক্ষা বর্জনেরও হুমকি দেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ

তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?

সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’

এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’

আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ