বৃহত্তর নোয়াখালী ইউনিটি নারায়ণগঞ্জের দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
Published: 24th, March 2025 GMT
বৃহত্তর নোয়াখালী ইউনিটি নারায়ণগঞ্জের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় গ্রীন গার্ডেন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আবুল খায়ের খাজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি ও বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশিদ হারুন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, হেফাজত ইসলামের নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারন সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌস উর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমূখ।
প্রধান অতিথি হারুন অর রশিদ বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালী ইউনিটির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ বসবাসরত বৃহত্তর নোয়াখালীর জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা আশা করি নারায়ণগঞ্জ বৃহত্তর নোয়াখালী ইউনিটি আগামীতে সফলভাবে পরিচালিত হবে। সবাই একে অন্যের বিপদে আপদে এগিয়ে আসবে। এই ইউনিটের আমি মঙ্গল কামনা করছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালী একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। নারায়ণগঞ্জের সকল উন্নয়নের অংশীদার নোয়াখালীর বাসিন্দারা। এই সংগঠনটি আরো সুসংগঠিত হোক এটা আমরা প্রত্যাশা করি এবং যেকোনো বিষয়ে আমরা এ সংগঠনের পাশে থাকবো।
এ সময় এ সময় সংগঠনের সদস্যগণসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন, আবু সাঈদ শিপন, সাংবাদিক সাইফুল্লাহ মো.
উল্লেখ্য, “বৃহত্তর নোয়াখালী ইউনিটি নারায়ণগঞ্জ” এ সংগঠনটি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে ২০২৫ সালে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল ব এনপ র অন ষ ঠ স গঠন ইফত র ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্স টাউনে মুক্তিপণ না পেয়ে মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন ইকবাল নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) কুইন্সটাউনের একটি জঙ্গল থেকে আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সদরের আলীরটেক এলাকায়।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
স্বজনেরা জানান, গত ২ জুন অপহরণকারীরা নিহতের পরিবারের কাছে প্রথমে ৫ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে এক কোটি টাকা দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলমগীর হোসেন ইকবাল দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাস করে আসছিল। সেখানে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ইকবালের পরিবারে মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। তারা বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাস করে আসছিলেন।
নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের ভগ্নীপতি শরিফুর রহমান ঢালী বলেন, ‘‘গত ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করার সময় ৪ জন অপহরণকারী ইকবালকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুদিন পরে ইকবালের স্ত্রীর ফোন নাম্বারে কল করে সাউথ আফ্রিকান ৫০ লাখ (বাংলাদেশি টাকায় ৫ কোটি টাকা) দাবি করে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘একাধিকবার কথা বলার পরিবার এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ এক কোটি টাকা দাবি করে। কিন্তু, পরিবার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে। ১২ জুন একটি জঙ্গল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আগামী ১৫ জুন রাতে কাতার এয়ারওয়েজে নিহত আলমগীর হোসেন ইকবালের মরদেহ দেশে আসবে।’’
ঢাকা/অনিক/রাজীব