বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা এবং দেশে আসার জন্য দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিইএব) গণপূর্ত অধিদপ্তর শাখা। মঙ্গলবার আইডিইবি ভবনে এ দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম।

মাহফিলে বক্তারা বলেন, আপোসহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মাথানত করেননি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ফ্যাসিবাদী সরকার তার এই আপোসহীনতা সহ্য করতে না পেরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় মিথ্যা মামলায় জেলে প্রেরণ করে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ও তার পরিবার বারবার ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে আবেদন করলেও জামিন মেলেনি। দীর্ঘ ছয় বছর খালেদা জিয়া কারান্তরীণ থাকার পরে অভ্যুত্থানের সরকার তাকে জামিন দিলে তিনি চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আবার দেশ ও জাতির হাল ধরবেন।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিইএব মহাসচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন। সভায় ডিইএব গণপূর্ত অধিদপ্তর শাখার সদস্য সচিব মো.

সাখাওয়াত হোসেনের সঞ্চালনায়  সভাপতিত্ব করেন ডিইএব গণপূর্ত অধিদপ্তর শাখার আহ্বায়ক এস,এম, আমিরুজ্জামান বিলাস। এছাড়া ডিইএব কেন্দ্রীয় কমিটি ও গণপূর্ত শাখার অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত, থানায় অভিযোগ করায় নানাকে কুপিয়ে হত্যা

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় কয়েক বখাটের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তার স্বজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর নানা আজগর আলীকে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়ভাবে বখাটে হিসেবে পরিচিত আল-আমিন নামে এক যুবক ও তার সহযোগীরা। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আজগর আলী রায়দক্ষিণ গ্রামে একটি চায়ের দোকান চালাতেন। অভিযুক্ত আল-আমিন একই গ্রামের মৃত কালু প্রামাণিকের ছেলে।

পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, যে শিশুটিকে উত্ত্যক্ত করত বখাটেরা, তার মা পাঁচ বছর আগে মারা যান। মেয়েটি নানা আজগর আলীর বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পড়ত। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে শিশুটিকে প্রায় উত্ত্যক্ত এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত আল-আমিন। এ নিয়ে আজগর আলীসহ মেয়েটির স্বজন বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। গত সোমবার মেয়েটির নানা আজগর আলী সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার অভিযোগটি তদন্ত করার পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।    

এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয় আল-আমিন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আল-আমিন চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলে করে সহযোগীদের নিয়ে আজগর আলীর চায়ের দোকানে যায়। তারা বৃদ্ধ আজগর আলীকে দোকান থেকে বের করে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও লাটিসোঠা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। হামলাকারীরা চলে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আজগর আলীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে রাতেই তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজগর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজগর আলীর শ্যালক নজরুল ইসলাম জানান, মাদক সেবন, মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে জড়িত বখাটে আল-আমিন। 

সিংগাইর থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, নিহতের বড় ছেলে আইয়ুব খান বুধবার আল-আমিনকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার পর থেকে আল-আমিন ও তার সহযোগীরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ