মুক্তিনগর ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন ফোরামের ইফতার মাহফিল
Published: 27th, March 2025 GMT
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে সিদ্ধিরগঞ্জে মুক্তিনগর ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) সিদ্ধিরগঞ্জের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকাস্থ ডা: মাসুদ করিমের বাস ভবনে বন্ধু মহলের সৌজন্যে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা এবং এলাকার প্রয়াত ব্যক্তিদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
নাসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: মাসুদ করিমের আয়োজনে উক্ত ইফতার মাহফিলে বন্ধু মহলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তারিক ইকবাল নিপু, আ: গফুর রাজু, মো: ইউসুফ, কামাল হোসেন, আ: রহিম, কাজী জহিরুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন ও কামরুজ্জামান রিংকু সহ প্রমূখ।
এসময় নাসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা: মাসুদ করিম তার বন্ধু মহলের উদ্দেশ্যে বলেন, বিগত দিনে পতিত স্বৈরাচারী সরকারের দু:শাসনের আমলে নানান নৈরাজ্যের কারণে সমাজে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, কিশোরগ্যাংয়ের অপতৎপরতা এবং ভুমিদস্যুতাসহ নানাবিধ অপরাধ কর্মকান্ড ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। তাই আগামী দিনে এলাকার সর্বস্তরের মানুষকে সাথে নিয়ে এসব অন্যায়-অপরাধকে নির্মূল করে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। সবাই আমাকে সহযোগিতা করবেন। সবাইকে নিয়ে একটি বাসযোগ্য এলাকা গড়ে তুলতে চাই।
এসময় আমন্ত্রিত মেহমানদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক।
এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”
বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।”
চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”
ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।”
হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে।
গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”
ঢাকা/রাঙামাটি/এস