ঈদের ছুটিতে সুস্থ থাকতে এই পাঁচ কাজ করবেন না
Published: 28th, March 2025 GMT
ঈদে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় বাড়তি খাবার গ্রহণ করার প্রবণতা বাড়ে। দেখা যায় যে, ভারী খাবার গ্রহণের পরেই হয়তো ফল খাওয়া হচ্ছে, এতে হজমে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আবার বাড়তি খাবার গ্রহণ করলে বাড়তি ঘুমও আসতে পারে। খাবার গ্রহণের পরপর ঘুমিয়ে পড়লেও হজমে সমস্যা তৈরি হয়। সুস্থ্যতা বজায় রাখার জন্য পরিমিত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি মানতে হবে আরও পাঁচ নিয়ম।
ভারি খাবার খেয়ে ফল খাবেন না: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভরা পেটে কখনোই ফল খাওয়া ঠিক নয়। বরং খালি পেটে ফল খাওয়া ভালো। এতে ফলের খাদ্যগুণ আমাদের শরীর সহজে শোষণ কর হয়। ফল খেতে হলে ভারী খাবার গ্রহনের আগে খান। কারণ খাবার খেয়েই ফল খেলে হজমের সমস্যাও দেখা দেয়।
খাওয়ার পরপরই ঘুমাবেন না: খাওয়ার পরে শরীর নেতিয়ে পড়ে, ঘুম আসে। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে ঘুম এড়ানো কঠিন হয়। কিন্তু এটা অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস। খেয়ে উঠেই শুয়ে পড়লে ওজন বাড়বে এবং হজমের সমস্যাও দেখা দেবে। তাই খেয়ে উঠে অন্তত এক ঘণ্টা পরে বিছানায় যান।
আরো পড়ুন:
ঈদে ফাঁকা বাসার নিরাপত্তায় এই কাজগুলো করুন
ঈদে লিভিংরুমের সৌন্দর্য বাড়াতে একটি জিনিস বদলে নিতে পারেন
খাবার পরেই ধূমপান করবেন না: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খাবার গ্রহণের পরপর ধূমপান করা আরও বেশি ক্ষতিকর। ভরা পেটে ধূমপান করলে ইনটেসটাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
খাবারের পরে কোমরের বেল্ট ঢিলা করবেন না: সুস্বাদু খাবার পেয়ে পেটভর্তি খেয়ে অনেকে কোমরের বেল্ট একটু ঢিলা করে নেন। এতে অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের প্রবণতা আরও বাড়ে। এই অভ্যাস থাকলে আপনার অতিরিক্ত খাওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না। অন্যদিকে অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়বে, সঙ্গে হজমের সমস্যাও দেখা দেবে।
খাবার খেয়ে উঠেই পানি পান করবেন না: পানি খাওয়া শরীরের জন্য খুব ভালো। কিন্তু খেয়ে উঠেই পানি পান করা হজমের পক্ষে ভালো না। এতে গ্যাসট্রিক রস হালকা হয়ে যায়। ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হতে চায় না। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধুমাত্র পানিই নয়, বিভিন্ন রকম পানীয় যেমন চা বা কফি; এগুলো খাবার গ্রহণের পরপরই পান করা ঠিক নয়।
তথ্যসূত্র: এই সময় অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ ব র গ রহণ র পর খ ব র গ রহণ র প র সমস য করব ন ন প ন কর হজম র
এছাড়াও পড়ুন:
চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা, ভারী বর্ষণের আশঙ্কা
দেশের উপকূলীয় এলাকায় সক্রিয় রয়েছে স্থানীয় মৌসুমী বায়ু। এর প্রভাবে চার সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রাকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূর্বভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনাও রয়েছে।
আজ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুরে অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রামে অনেক জায়গায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। সারা দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। এই দিন থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে, বিশেষ করে নদীতীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের। একইসঙ্গে সম্ভাব্য জলাবদ্ধতা ও কৃষিক্ষেত্রে ক্ষতির বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে খুলনায় ৭৫ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নরসিংদীতে ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা/ইভা