ঈদে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় বাড়তি খাবার গ্রহণ করার প্রবণতা বাড়ে। দেখা যায় যে, ভারী খাবার গ্রহণের পরেই হয়তো ফল খাওয়া হচ্ছে, এতে হজমে সমস্যা তৈরি হতে পারে। আবার বাড়তি খাবার গ্রহণ করলে বাড়তি ঘুমও আসতে পারে। খাবার গ্রহণের পরপর ঘুমিয়ে পড়লেও হজমে সমস্যা তৈরি হয়। সুস্থ্যতা বজায় রাখার জন্য পরিমিত খাবার গ্রহণের পাশাপাশি মানতে হবে আরও পাঁচ নিয়ম।

ভারি খাবার খেয়ে ফল খাবেন না: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভরা পেটে কখনোই ফল খাওয়া ঠিক নয়। বরং খালি পেটে ফল খাওয়া ভালো। এতে ফলের খাদ্যগুণ আমাদের শরীর সহজে শোষণ কর হয়। ফল খেতে হলে ভারী খাবার গ্রহনের আগে খান। কারণ খাবার খেয়েই ফল খেলে হজমের সমস্যাও দেখা দেয়।

খাওয়ার পরপরই ঘুমাবেন না: খাওয়ার পরে শরীর নেতিয়ে পড়ে, ঘুম আসে। অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করলে ঘুম এড়ানো কঠিন হয়। কিন্তু এটা অত্যন্ত খারাপ অভ্যাস। খেয়ে উঠেই শুয়ে পড়লে ওজন বাড়বে এবং হজমের সমস্যাও দেখা দেবে। তাই খেয়ে উঠে অন্তত এক ঘণ্টা পরে বিছানায় যান।

আরো পড়ুন:

ঈদে ফাঁকা বাসার নিরাপত্তায় এই কাজগুলো করুন

ঈদে লিভিংরুমের সৌন্দর্য বাড়াতে একটি জিনিস বদলে নিতে পারেন

খাবার পরেই ধূমপান করবেন না: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। খাবার গ্রহণের পরপর ধূমপান করা আরও বেশি ক্ষতিকর। ভরা পেটে ধূমপান করলে ইনটেসটাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

খাবারের পরে কোমরের বেল্ট ঢিলা করবেন না: সুস্বাদু খাবার পেয়ে পেটভর্তি খেয়ে অনেকে কোমরের বেল্ট একটু ঢিলা করে নেন। এতে অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের প্রবণতা আরও বাড়ে। এই  অভ্যাস থাকলে আপনার অতিরিক্ত খাওয়া কেউ ঠেকাতে পারবে না। অন্যদিকে অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়বে, সঙ্গে হজমের সমস্যাও দেখা দেবে।

খাবার খেয়ে উঠেই পানি পান করবেন না: পানি খাওয়া শরীরের জন্য খুব ভালো। কিন্তু খেয়ে উঠেই পানি পান করা হজমের পক্ষে ভালো না। এতে গ্যাসট্রিক রস হালকা হয়ে যায়। ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হতে চায় না। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধুমাত্র পানিই নয়, বিভিন্ন রকম পানীয় যেমন চা বা কফি; এগুলো খাবার গ্রহণের পরপরই পান করা ঠিক নয়।

তথ্যসূত্র: এই সময় অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ ব র গ রহণ র পর খ ব র গ রহণ র প র সমস য করব ন ন প ন কর হজম র

এছাড়াও পড়ুন:

হরমুজ প্রণালি বন্ধ করল ইরান, তেলের বাজারে উত্তেজনা

তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিয়েছে ইরান। দেশটির সশস্ত্র বাহিনী তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে এক ঘোষণায় জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হরমুজ প্রণালি দিয়ে কোনো জাহাজ চলতে পারবে না। এরই মধ্যে অপরিশোধিত তেলের দামও বেড়ে গেছে।

এই ঘোষণায় স্পষ্ট হয়ে গেছে, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আরও জোরদার করবে এবং হরমুজ প্রণালিকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করবে, যা বিশ্ব জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ জলপথ।

হরমুজ প্রণালি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগতভাবে সংবেদনশীল একটি সমুদ্রপথ। এটি পারস্য উপসাগরকে ওমান উপসাগরের সঙ্গে যুক্ত করেছে এবং ইরান ও ওমানের মাঝখানে অবস্থিত।

প্রণালিটির প্রস্থ খুব বেশি নয়, সবচেয়ে সংকীর্ণ জায়গায় মাত্র ৩৯ কিলোমিটার, যার মধ্যে কেবল দুটি সংকীর্ণ চ্যানেল দিয়ে বড় জাহাজ চলাচল করতে পারে। তবে ছোট এই পানিপথ দিয়েই প্রতিদিন বিশ্বের মোট সমুদ্রপথে পরিবাহিত তেলের প্রায় ২০ শতাংশ যাতায়াত করে, যা একে বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।

হরমুজ প্রণালি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। ইরান প্রায়ই এই প্রণালিকে একটি কৌশলগত চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা বা সামরিক হুমকির জবাবে ইরান একাধিকবার হুমকি দিয়েছে, তারা হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিতে পারে, যা গোটা বিশ্বের জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থায় চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বারবার এই প্রণালির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের নৌবাহিনী মোতায়েন করেছে।

ইরানে হামলার পরপরই হরমুজ প্রণালি নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। খবর আলজাজিরার।

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হরমুজ প্রণালি বন্ধ করল ইরান, তেলের বাজারে উত্তেজনা