উয়েফা, ফিফা ও লা লিগা কর্তৃপক্ষকে ধুয়ে দিলেন কুন্দে
Published: 28th, March 2025 GMT
আন্তর্জাতিক ফুটবলের ধকল কাটিয়ে না উঠতেই বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যাচে নামতে হয় বার্সেলোনাকে। কাতালান জায়ান্টরা ইচ্ছের বিরুদ্ধে খেলে ওসাসুনাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে। তবে ম্যাচে বার্সা মিডফিল্ডার দানি ওলমো চটে পড়েন।
এই অবস্থায় আবারও সামনে চলে আসে ফুটবলাদের সাথে খেলার সূচির সাংঘর্ষিকতার বিষয়টি। বার্সা ম্যানেজার হান্সি ফ্লিক জানালেন, খেলোয়াড় ও কোচদের কথাও মাথায় রাখা উচিৎ সবার। অন্যদিকে বার্সা ডিফেন্ডার জুল কুন্দে বলেন ফুটবলাররা যন্ত্র না।
একটা সময় ইউরোপিয়ান ফুটবল মৌসুম শেষ হওয়ার পর টানা দুই মাস বিশ্রাম নিতেন খেলোয়াড়রা। এরপর ক্লাবে যোগ দিলেও প্রাক মৌসুম কিংবা প্রদর্শনী ম্যাচে খেলার বাধ্যবাধকতা ছিল না ফুটবলারদের। তবে ধীরে-ধীরে ফুটবল এখন পৃষ্ঠপোষকরা নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই আয়োজক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা গুলোও গা ভাসাচ্ছে সেই স্রোতে। এই মৌসুম থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন ফরম্যাটে ফুটবলারদের খেলতে হচ্ছে অতিরিক্ত ম্যাচ। আছে ন্যাশনস লিগের ব্যস্ততা। এসবের সাথে যুক্ত হয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপ।
আরো পড়ুন:
জয়ের পর আনচেলত্তি জানালেন, নজর কেবল ‘তিন পয়েন্টে’
পয়েন্টে শীর্ষে বার্সা, গোলে লেভানডোফস্কি
এদিকে ওসাসুনার বিপক্ষে ম্যচটা ধরলে ২০ দিনের মাঝে বার্সেলোনা মোট ৭ বার মাঠে নাম্বে। ৬৪ ঘন্টার মাঝেই রবিবার আরেকটি লা লিগার ম্যাচ খেলতে হবে কাতালান জায়ান্টদের। এই ব্যাপারে ফ্লিক বলেন, “আমি মনে করি, আপনাকে খেলোয়াড়দের কথা শুনতে হবে। এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গ্রীষ্মে ক্লাবের জন্য বিশ্বকাপ আছে। এটা কঠিন। ন্যাশনস লিগ, আন্তর্জাতিক বিরতি। আমার মতে, এই বিশ্বকাপটা (ক্লাব) ভাল নয়। ঠিক আছে, আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারছেন, কিন্তু খেলোয়াড়দের জন্য এটা ভাল নয়। খেলোয়াড়দের কথা ভাবতে হবে।”
বেশি খেলার ফলে খেলার মানের সাথে আপোষ করতে হয় বলে জানান জার্মান কোচ ফ্লিক, “ভক্তরা চায় যে, প্রতিটি খেলোয়াড় শতভাগ দিয়ে খেলুক। জমজম্যাট ম্যাচ দেখতে চায়। যখন ব্যাপারটা এইভাবে চলে, আমার মনে হয় খেলাটা আর ওই স্তরে থাকে না। আমরা এই পর্যায়ে (সর্বোচ্চ) খেলতে পারি না। শুধু আমরা না, যারা বিশ্বকাপে খেলবে তারা কেউই ওই পর্যায়ে খেলতে পারবে না।”
বার্সেলোনা ডিফেন্ডার কুন্দে রবিবার ফ্রান্সের হয়ে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ন্যাশনস লিগের কোয়ার্টারফাইনালে ১২০ মিনিট খেলেছিলেন। ফ্লিকের অভিযোগের সাথে একমত হয়েছেন তিনিও। কুন্দে বলেন, “আমি এই ম্যাচের তারিখের নির্বাচনের ব্যাপারে রাগান্বিত। ব্যাপারটা স্বাভাবিক নয়। সত্যি বলতে, আমি যে কাজটি করি, তার জন্য আমি ভাগ্যবান। কিন্তু বার্সা ও ওসাসুনা যারা আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের নিয়ে এই ম্যাচ খেলেছে, তাদের প্রতি অমর্যাদা ও অস্মমান প্রদর্শন করে, এই তারিখটি নির্বাচন করা হয়েছে।”
এরপর ফরাসি ডিফেন্ডার উয়েফা ও ফিফার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ফুটবলারদেরও বিশ্রাম প্রয়োজন। কুন্দে বলেন, “আমরা যন্ত্র নই যে, খেলে কেবল ভক্তরা যা চায় সেটার প্রদর্শনী করব। আমাদেরও বিশ্রাম প্রয়োজন। মূল কথা হচ্ছে, এটা খেলোয়াড়দের প্রতি অমর্যাদা প্রদর্শন করে। সকল প্রতিষ্ঠানকে এটা বোঝা উচিত। শুধু লা লিগা নয়, সবাই(উয়েফা,ফিফা)।”
কিছুটা বৈপ্লবিক সুরে কুন্দে মনে করিয়ে দিলেন যে, ফুটবলের মূল নায়ক ফুটবলাররাই, “আমরা আগে কিছু বলিনি, কারণ আমরা অজুহাত খুঁজতে চাইনি। কিন্তু এক সময় আপনার কথা শোনা উচিৎ। আমরা হচ্ছি প্রধান কুশীলব। তারা শুধু তাদের চাওয়া মতো কিছু করতে পারে না।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বক প ফ টবল র
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।