‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার পুরোনো সম্পর্ক শেষ’
Published: 29th, March 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার আগে যে সম্পর্ক ছিল, এখন আর তা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তিনি বলছেন, আমাদের অর্থনীতির গভীরতর একীভূতকরণ এবং কঠোর নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে বলছি, সেই সম্পর্ক এখন আর নেই।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অটোয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কার্নি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের মুখে কানাডীয়দের মৌলিকভাবে অর্থনীতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। কানাডা প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করবে, যার সর্বোচ্চ প্রভাব পড়বে আমেরিকার ওপর।
বুধবার ট্রাম্প আমেরিকার আমদানি করা গাড়ি ও এর খুচরা যন্ত্রপাতির ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছেন। আগামী ২ এপ্রিল থেকে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর আগে বাণিজ্য অংশীদার কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন। পাশাপাশি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর জেরে এবার দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৯৬৫ সালে স্বাক্ষরিত মূল কানাডা-মার্কিন মোটর গাড়ি পণ্য চুক্তি তাঁর জীবদ্দশায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ছিল। এই শুল্কের মাধ্যমে এটি শেষ হয়ে গেল। খবর রয়টার্সের।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫