‘বিশ্ব শান্তির জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনল্যান্ড দখল করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

শুক্রবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য শান্তির কথা বলছি না। আমরা বিশ্ব শান্তির কথা বলছি। আমরা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার কথা বলছি।”

আরো পড়ুন:

গাড়ি আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

সংখ্যালঘু নির্যাতনে ভারতকেই কালো তালিকায় ফেলার সুপারিশ যুক্তরাষ্ট্রে

এদিকে, শুক্রবার গ্রিনল্যান্ডের একটি আমেরিকান সামরিক ঘাঁটি পরিদর্শন করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, তার স্ত্রী উষা ভ্যান্স এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা। 

এসময় জেডি ভ্যান্স বলেন, “আমাদের বিতর্ক গ্রিনল্যান্ডের জনগণের সঙ্গে নয়, আমার মনে হয় তারা অসাধারণ এবং এখানে অসাধারণ সুযোগ রয়েছে।  আমাদের বিতর্ক আসলে ডেনমার্কের নেতৃত্বের সঙ্গে, যারা গ্রিনল্যান্ডে কম বিনিয়োগ করেছে এবং এর নিরাপত্তা স্থাপত্যে কম বিনিয়োগ করেছে।”

তবে, গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের প্রতিক্রিয়ার কারণে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট তার তিন দিনের সফরের পরিকল্পনা পরবর্তন করে একদিনে নিয়ে আসেন। গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক ক্ষুব্ধ হয় কারণ তাদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই ভান্সের ভ্রমণ পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব করেছিলেন এবং তখন থেকেই তিনি এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য ‘একটি আবশ্যকতা’ বলে মনে করেন।

তবে গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্ক কর্তৃপক্ষ বসে আসছে যে, দ্বীপটি বিক্রয়ের জন্য নয়।  

গ্রিনল্যান্ড উত্তর আমেরিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত রুটের মাঝে অবস্থিত, যা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। এছাড়া এখানে একটি বড় মার্কিন মহাকাশ কেন্দ্র রয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রিনল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিরল খনিজ, ইউরেনিয়াম এবং লোহা। দ্বীপটি যদিও স্বায়ত্বশাসিত, কিন্তু এটি ডেনমার্কের অংশ। 

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড দখলে সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি ব্যবহার করার ইঙ্গিত দেন। 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানের রাস্তায় রাস্তায়  ‘হিটেড বেঞ্চ’

জাপানের টোকিও, সাপোরো এবং ওসাকার মতো বড় বড় শহরগুলোর রাস্তায় হিটেড বেঞ্চ বসানো হয়েছে। তীব্র শীতের রাতে গৃহহীন মানুষদের উষ্ণতা এবং স্বস্তি দেওয়াই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।এই বেঞ্চগুলো সৌরশক্তি চালিত হয়ে থাকে।

হিটেড বেঞ্জগুলো দিনের বেলায় সূর্যের আলো থেকে তাপ সংগ্রহ করে বিশেষ "ফেজ-চেঞ্জ মেটেরিয়াল" ব্যবহার করে তা সংরক্ষণ করে।  এরপর সংরক্ষিত তাপ রাতে ধীরে ধীরে নির্গত হয় এবং প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত উষ্ণতা সরবরাহ করতে পারে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। 

আরো পড়ুন:

কারা বেশি কাঁদেন? 

যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়

হিটেড বেঞ্চের জন্য কোনো অতিরিক্ত জ্বালানী বা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। এই মানবিক উদ্যোগটি জাপান সরকারের একটি সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ, যা নগর পরিকল্পনায় উদ্ভাবন এবং সামাজিক কল্যাণের এক চমৎকার উদাহরণ বলছেন দেশটির নাগরিকেরা। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ