গাইবান্ধায় ভিন্নধর্মী আয়োজন ‘এক টাকার বাজার’ নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘আমাদের গাইবান্ধা’। শনিবার (২৯ মার্চ) শহরের ডিবি রোডের স্বাধীনতা রজতজয়ন্তী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এই বাজার থেকে জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকার নিম্নবিত্ত ও সুবিধাবঞ্চিত ২৫০ জন ক্রেতা মাত্র ১ টাকায় একটি কুপন দিয়ে ১৮ ধরনের পণ্য কিনেছেন।
এক টাকার বাজার কর্মসূচির উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহম্মদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আমাদের গাইবান্ধা সংগঠনের সভাপতি সায়েম রহমানসহ উপদেষ্টা এবং সদস্যরা।
আরো পড়ুন:
১০ টাকার ঈদবাজারে ৪০০ পরিবারের মুখে হাসি
খোলা ট্রাক-পিকআপে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ
এক টাকার প্রতীকী মূল্যে এ সব পণ্যের মধ্যে ছিল সোনালী মুরগি, আলু, বাঁধাকপি, বেগুন, চাল, সয়াবিন তেল, ডাল, সুজি, চিনি, নুডলস, সেমাই, গুড়া দুধ, লবণ, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, লেবুসহ কয়েক পদের সবজি।
সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ এক টাকার টোকেন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, কেউ আবার টোকেন দিয়ে বাজার করছেন। সবার চোখে মুখে আনন্দের ছাপ। ঈদ উপলক্ষে এক টাকায় প্রয়োজনীয় সবকিছু পেয়ে ভীষণ খুশি তারা।
এক টাকার বাজার করতে শহরের খানকা শরীফ এলাকা থেকে এসেছিলেন জহুরা বেগম ও আলেয়া বেগম। তারা জানান, প্রতিবছর এক টাকার বাজারের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, ‘‘এক টাকাত এতগুলা বাজার পায়া (পেয়ে) হামার খুব ভালো লাগতিছে।’’
এ বিষয়ে আয়োজক সদস্যরা জানান, প্রয়োজন অনুসারে বাছাই করে সেসব পণ্য দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ‘আমাদের গাইবান্ধা’ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুসাভির রহমান রিদিম জানান, তাদের সংগঠনের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। ঈদ উপলক্ষে তাদের এই বিশেষ আয়োজন। এর আগের কয়েকটি ঈদেও তারা এমন আয়োজন করেন। বাজার বসার আগে যারা সুবিধাবঞ্চিত তাদের খুঁজে এই টোকেন দেওয়া হয়।
আমাদের গাইবান্ধার সভাপতি সায়হাম রহমান বলেন, ভবিষ্যতেও এমন প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
ঢাকা/মাসুম/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ উৎসব এক ট ক র ব জ র স গঠন
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।