পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রথমবারের মতো ঈদের চাঁদ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৩০ মার্চ) রাত ৮টায় পৌর শহরের মাদ্রাসা কালভার্ট সংলগ্ন দারুল মডেল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একটি আনন্দ মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি ওই এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একইস্থানে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা মেহেদী উৎসবে মিলিত হয়। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একে অপরের হাত মেহেদীর রংয়ে রাঙিয়ে দেন।
এর আগে শিক্ষার্থীরা মুক্ত আকাশে চাঁদ দেখা, মাদ্রাসার হলরুমে ইসলামী গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে ব্যতিক্রমী এ উৎসবের আয়োজকদের স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয়রা।
দারুল মডেল মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবক হোসনেয়ারা বলেন, ‘‘আমরা মাদ্রাসায় সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একসঙ্গে চাঁদ দেখেছি। পরে আনন্দ মিছিল ও মেহেদী উৎসব হয়েছে। এমন ব্যতিক্রমী উৎসবের আয়োজন করায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও কলাপাড়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই।’’
আরো পড়ুন:
রংপুরের প্রধান ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
সিলেটে ঈদের জামাত কোথায় কখন
কলাপাড়া জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাহবুবুল আলম নাঈম বলেন, ‘‘মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থীদের আনন্দ দেয়ার জন্য আমরা এ উৎসবের আয়োজন করেছি। অনেক শিশু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে। আমরা প্রতি বছর এ অনুষ্ঠানটি করতে চাই।’’
ঢাকা/ইমরান/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ উৎসব অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু