ঈদে দূর পরবাসে থাকলেও মনটা দেশে পড়ে আছে: জায়েদ খান
Published: 31st, March 2025 GMT
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। বাবা-মা, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন বাড়তি আনন্দের। ঈদের হাওয়া লেগেছে শোবিজ অঙ্গনেও। সঙ্গত কারণে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও ঈদ-আনন্দে ভাসছেন। পরিবার-পরিজন রেখে কেউ কেউ রয়েছেন দূর পরবাসে। এই তালিকায় রয়েছেন এ সময়ের আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান। দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন তিনি।
ঈদুল ফিতর সেখানেই উদযাপন করছেন জায়েদ খান। সকালে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এ তথ্য উল্লেখ করে জায়েদ খান রাইজিংবিডিকে বলেন, “সকালেই ঈদের নামাজ সেরেছি। এখানে আমার কাজিন সংগীতশিল্পী প্রতীক হাসান রয়েছে। আমরা একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করছি। এরপর এখানে অবস্থানকারী শিল্পীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছি।”
গায়ক প্রতীক হাসানও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। ঈদের নামাজ শেষে ফ্রেমবন্দি হন জায়েদ খান-প্রতীক হাসানসহ অন্যরা
আরো পড়ুন:
ফ্লোরিডায় বাংলা সিনেমার গানে মঞ্চ মাতালেন জায়েদ খান
দুই নায়িকাকে নিয়ে জায়েদ খানের ডিগবাজি (ভিডিও)
কয়ক বছর আগে জায়েদ খানের বাবা-মা গত হয়েছে। সাধারণত, ঈদের দিনে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে থাকেন। কিন্তু এবার তা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে জায়েদ খান বলেন, “ঈদের দিন সকালেই বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করে থাকি। এবার আর হলো না। মনটা ভীষণ খারাপ। ভাই-বোনকে মিস করছি। বোনের হাতের রান্না মিস করছি। সত্যি বলতে দেশের মানুষকে খুব মিস করছি। দূরপরবাসে পড়ে থাকলেও মনটা দেশে পড়ে আছে। পরিচিত মানুষের মুখগুলো দেখতে ইচ্ছে করছে; সবার জন্য দোয়া ও ঈদের শুভেচ্ছা রইল।”
জায়েদ খান যুক্তরাষ্ট্রে ঠিকানা টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সেখানে একটি শো উপস্থাপনা করছেন। ঈদের দিনে সহকর্মীদের সঙ্গেও সময় কাটাবেন। জায়েদ খান বলেন, “ঠিকানা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি। পরিবারের কিছু কার্যক্রম ছিল, সেগুলো করেছি।”
নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’। এর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিনোদনমূলক একটি টক শো উপস্থাপনা করছেন, যেখানে শোবিজ ও চলচ্চিত্রের তারকারা উপস্থিত থাকেন। প্রথমবারের মতো উপস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন এই নায়ক।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত শোয়েও পারফর্ম করছেন জায়েদ খান।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ন করছ করছ ন উপস থ
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’