ফুটবল কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যামের ৫০তম জন্মদিনের পার্টিতে তারকাদের মেলা বসেছিল। তবে সেই অনুষ্ঠানে আলো কেড়ে নিয়েছেন লিওনেল মেসির স্ত্রী আন্তোনেলা রোকুজ্জো।  

ইন্টার মায়ামির মালিক ও সাবেক ইংলিশ তারকা বেকহ্যামের এই বিশেষ আয়োজনে অতিথি ছিলেন তার ক্লাবের তারকা খেলোয়াড়রাও। মেসির পাশাপাশি যোগ দেন তার সতীর্থ সার্জিও বুসকেটস, জর্ডি আলবা ও লুইস সুয়ারেজ। এছাড়াও আমন্ত্রিত ছিলেন ক্রীড়া জগতের অন্যান্য কিংবদন্তিরা, যার মধ্যে ছিলেন সাতবারের সুপার বোল জয়ী টম ব্র্যাডি এবং চারবারের এনবিএ চ্যাম্পিয়ন শাকিল ও'নিল।

বেকহ্যাম তার ইনস্টাগ্রামে পার্টির কিছু ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘আমি আগেভাগেই উদযাপন শুরু করলাম। মায়ামিতে দারুণ এক রাত কাটল। অসাধারণ বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে ৫০ বছর উদযাপন শুরু করতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হচ্ছে।’

তবে মেসি ও তার স্ত্রী আন্তোনেলা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরও বেশি সাড়া ফেলেন। সবুজ রঙের সুন্দর গাউনে হাজির হয়ে আন্তোনেলা নজর কাড়েন অতিথি ও ভক্তদের। ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে কেবল একটি সবুজ হৃদয়ের ইমোজিই দিয়েছেন তিনি, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।  

বেকহ্যামের স্ত্রী ভিক্টোরিয়া আন্তোনেলার পোশাকের প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘তোমাকে এই পোশাকে অসাধারণ লাগছে, অনেক ভালোবাসা।’  

ব্রাজিলিয়ান গায়িকা ও অভিনেত্রী জিউলিয়া মন্তব্য করেছেন, ‘অসাধারণ!’ 

অন্যদিকে, রোমারেই ভেনচুরা (জর্ডি আলবার স্ত্রী) চারটি ইমোজি পাঠান এবং সার্জিও বুসকেটসের স্ত্রী এলেনা গালেরা তিনটি হৃদয়ের ইমোজি দেন। এমনকি জনপ্রিয় লাতিন সংগীতশিল্পী বেকি জি মন্তব্য করেন, ‘মামি!’

জন্মদিনের এই পার্টির পর ইন্টার মায়ামি এখন মেজর লিগ সকারের মাঠে ফিরবে। বর্তমানে তারা ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থানে রয়েছে। তবে মাঠের লড়াইয়ের আগে বেকহ্যামের জন্মদিনের এই বিশেষ রাত ফুটবলপ্রেমীদের মনে দারুণ এক স্মৃতি হয়ে থাকবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ