প্রিমিয়ার লিগে চালু হচ্ছে ‘সেমি-অটোমেটেড অফসাইড’ প্রযুক্তি
Published: 2nd, April 2025 GMT
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সেমি-অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি চালু হতে যাচ্ছে, যা রেফারিদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরও স্বচ্ছতা ও গতি আনবে। আগামী ১২ এপ্রিল ম্যানচেস্টার সিটি ও ক্রিস্টাল প্যালেসের মধ্যকার ম্যাচে প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মার্চে এফএ কাপের পঞ্চম রাউন্ডের আটটি ম্যাচের মধ্যে সাতটিতে সফলভাবে প্রযুক্তিটির পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এছাড়া প্রি-লাইভ ট্রায়ালেও ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে প্রযুক্তিটি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেমি-অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তি ভিডিও সহকারী রেফারিকে (ভিএআর) দ্রুত ও নির্ভুল সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। প্রযুক্তিটি কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিশ্লেষণ করবে, ফলে অফসাইড চিহ্নিত করা আরও সহজ হবে।
প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই প্রযুক্তি অফসাইড সিদ্ধান্তের গতি, দক্ষতা ও সামঞ্জস্যতা বাড়াবে।’
সেমি-অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তিটি প্রথম চালু হয়েছিল ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে। এরপর সিরি আ, লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও এটি সফলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ
নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টকে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ করে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) নিজের ও দলের ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।
এতে তিনি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান
জামায়াত আমির বলেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”
“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”
“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ