সাদা বলের সংস্করণে ইংল্যান্ডের নতুন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) আজ তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করে। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে ইংল্যান্ডের বিদায়ের পর এই সংস্করণে অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়েন জস বাটলার। ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান ব্রুক তাঁর জায়গা নিলেন।

আরও পড়ুননাসির বললেন—এগুলো হচ্ছে ভুয়া কথা, তারকা-মারকা বলে কিছু নেই৫৫ মিনিট আগে

ব্রুক সাদা বলে আগেই ইংল্যান্ডের সহ–অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন। বাটলারের অনুপস্থিতিতে গত সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অধিনায়কত্বও করেন। স্থায়ী অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর ব্রুকের প্রথম সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। মে মাসে ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড।

অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর ব্রুক বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড দলের সাদা বলের অধিনায়ক হওয়া আমার জন্য বিশেষ সম্মানের। হোয়ার্ফেডেলের বার্লেতে শৈশবে ক্রিকেট খেলার সময় থেকে ইয়র্কশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন দেখেছি, ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে চেয়েছি, একদিন নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্নও দেখেছি। এখন সেই সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে অনেক বড় বিষয়।’

২০২২ সালে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর সব সংস্করণে নিজেকে ইংল্যান্ড দলের অন্যতম প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ব্রুক। বাটলার সরে দাঁড়ানোর পর সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে তাঁর নামই বেশি শোনা গেছে। টেস্টে ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় এই ব্যাটসম্যান গত বছর মুলতানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩১৭ রানের ক্যারিয়ার–সেরা ইনিংস খেলেন।

আরও পড়ুনপাকিস্তানে কাজ করে কোচিংয়ের স্বাদ মিটে গেছে গিলেস্পির৪ ঘণ্টা আগে

ব্রুকই যে ইংল্যান্ডের সাদা বলের অধিনায়ক হচ্ছেন, সেটা আরও জোরালো হয় এবার আইপিএল শুরুর আগে তিনি দিল্লি ক্যাপিটালস থেকে সরে দাঁড়ানোয়। টানা দ্বিতীয়বারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে ব্রুক জানান, ইংল্যান্ড দলই তাঁর ‘অগ্রাধিকার ও মনোযোগ’–এর জায়গা। দুই বছরের জন্য তাঁকে আইপিএলে নিষিদ্ধও করে বিসিসিআই কর্তৃপক্ষ। আগামী ১২ মাস ব্যস্ত সময়ও ইংল্যান্ড দলের সামনে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ আছে, এ ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

অধিনায়ক হিসেবে ব্রুকের অভিজ্ঞতা তেমন নেই। তবে গত সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ হারে প্রশংসিত হয়েছিল ব্রুকের কৌশলগত নেতৃত্বগুণ। ২০১৮ বিশ্বকাপে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন ব্রুক। এ ছাড়া ছেলেদের ‘হানড্রেড’ টুর্নামেন্টে মাঝেমধ্যে নর্দান সুপারচার্জার্সেরও অধিনায়কত্ব করেছেন।

ওয়ানডেতে অনেকে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিসেবে বেন স্টোকসকে দেখলেও টি-টোয়েন্টিতে ব্রুকের বিকল্প ছিল না। স্টোকস হ্যামস্ট্রিংয়ের অস্ত্রোপচার থেকে এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ব৵বস্থাপনা পরিচালক রব কি বলেছেন, ‘দুই সংস্করণেই হ্যারি ব্রুক ইংল্যান্ডের সাদা বলের অধিনায়ক হওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করায় আমি আনন্দিত।’

ইংল্যান্ডের হয়ে ২৬ ওয়ানডেতে ৩৪ গড়ে ৮১৬ রান করেছেন ব্রুক। ৪৪ টি-টোয়েন্টিতে ২৮.

৫০ গড়ে ৭৯৮ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৪৬.১৫। টি-টোয়েন্টি দলের হয়ে ২০২২ বিশ্বকাপও জিতেছেন ব্রুক।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ই ল য ন ড দল স স করণ কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ