Prothomalo:
2025-06-15@17:41:18 GMT

জুরাইজ এবং তাঁর মা

Published: 11th, April 2025 GMT

মহানবী মুহাম্মদ (সা.) মায়ের অনন্য মর্যাদার ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, ‘মায়েদের পদতলে জান্নাত।’ আরও বলেছেন, ‘আল্লাহ মায়ের অবাধ্য হওয়াকে তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ করেছেন।’ ((নাসায়ি, হাদিস: ৩,১০৪; মুসলিম, হাদিস: ৪,৫৮০)

তিনজন শিশু দোলনা থেকে কথা বলেছেন। প্রথমজন ঈসা (আ.)। দ্বিতীয়জন জুরাইজ নামে বনি ইসরাইলের এক ইবাদতকারী। তৃতীয়জন বনি ইসরাইলের এক শিশু। আবু হুরাইরা (রা.

) একবার নবীজির(সা.) কাছে মায়ের অবাধ্যতা নিয়ে জুরাইজের একটি ঘটনা শুনেছেন।

একদিন জুরাইজ ইবাদত করছিলেন। এমন অবস্থায় তার মা এসে তাকে ডাক দিলেন। জুরাইজ ভাবলেন, ‘আমি কি তার ডাকে সাড়া দেব, নাকি ইবাদত করতে থাকব।’ মা বললেন, ‘আল্লাহ, ব্যভিচারিণীর মুখ না দেখিয়ে তুমি তার মৃত্যু দিয়ো না।’

আরও পড়ুনরাগ নিয়ন্ত্রণ করতে যা করা যায়১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

জুরাইজ থাকতেন তার ইবাদতখানায়। একবার তার কাছে এক নারী এলো। তার সঙ্গে কথা বলল। কিন্তু জুরাইজ তার বাসনা মানতে অস্বীকার করল। তারপর ওই নারী এক রাখালের কাছে গিয়ে তার মনোবাসনা পূর্ণ করল। পরে একটি পুত্রসন্তান প্রসব করল। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, সন্তানটি কার? নারী বলল, জুরাইজের। লোকেরা গিয়ে তার ইবাদতখানা ভেঙে দিল।

জুরাইজ বুঝতে পারলেন। তিনি ওজু করে ইবাদত করলেন। তারপর নবজাতকের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বলো, তোমার বাবা কে?’ শিশুটি জবাবে সেই রাখালের কথা বলল। তখন সবাই বলল, ‘আমরা আপনার ইবাদতখানা সোনা দিয়ে তৈরি করে দিচ্ছি।’ জুরাইজ বললেন, ‘না, মাটি দিয়ে।’ (সহিহ্ বুখারি, হাদিস: ৩,৪৩৬)

আরও পড়ুনতওবা যেভাবে করা যায়১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ র ইজ

এছাড়াও পড়ুন:

এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মী পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে বেসরকারি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী পলাতক।

আজ রোববার বিকেলে ওই কিশোরীর বাবা শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের একটি কারখানার পাশের এটিএম বুথের ভেতর এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়া শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুসার বাড়ির ভাড়াটিয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দায়। সে মা–বাবার সঙ্গে শ্রীপুরের একটি গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকে।

কিশোরীর বাবা প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, তিনি টাকা তোলার জন্য ওই এটিএম বুথে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর মেয়ে একটি স্পিনিং কারখানায় স্বল্প বেতনের চাকরি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে লিটন অন্য কারখানায় ভালো বেতনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। আশ্বাস পেয়ে রোববার তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে ওই বুথে যান।

ওই কিশোরীর বাবা আরও বলেন, বুথে যাওয়ার পর লিটন মিয়া তাঁর মেয়েকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। অন্য একটি কারখানার এক কর্মকর্তা কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসবেন বলে অপেক্ষা করিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে লিটন মিয়া ওই কিশোরীকে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন এবং তাঁর বাবাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। কিশোরীর বাবা সেখান থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর খবর নিতে এসে দেখেন তাঁর মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বুথের ভেতর থেকে বের হচ্ছে। পরে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে গেলে ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে জানায়।

পলাতক থাকায় এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহম্মদ আবদুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই নিরাপত্তাকর্মী পলাতক আছেন। তাঁকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ