ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) ঢাকা সদরদপ্তর পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ও ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন (ডনকাস্টার) এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকক। 

প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান ইউনিলিভার বাংলাদেশের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। তাদের মধ্যে ছিলেন– হিউম্যান রিসোর্স ডিরেক্টর সৈয়দা দুরদানা কবির; কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর শামিমা আক্তার এবং লিগ্যাল ডিরেক্টর অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি এসএম রাশেদুল কাইয়ুম।

উচ্চপর্যায়ের এই সফর ইউনিলিভারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে, যেখানে কীভাবে ব্রিটিশ ঐতিহ্য থেকে বেড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিকাশে একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে, তা তুলে ধরা হয়েছে। 

ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটন বলেন, দীর্ঘমেয়াদি বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব কেমন হতে পারে, ইউনিলিভার তারই একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান যেভাবে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্পে এত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। তাদের এই পথচলা শুধু বাণিজ্যে সীমাবদ্ধ নয়-এটি যৌথ সমৃদ্ধি এবং দায়িত্বশীল ব্যবসার প্রতিচ্ছবি।

অনুষ্ঠানে ইউনিলিভারের অগ্রগামী টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহ তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে রয়েছে- জলবায়ু সহনশীলতা, প্লাস্টিক হ্রাস, ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি এবং কমিউনিটির ক্ষমতায়ন। উদ্ভাবনকে কেন্দ্র করে, ইউনিলিভার বাংলাদেশে জাতীয় উন্নয়নের অগ্রাধিকারের সঙ্গে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ক্রমাগত সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে চালিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়। ইউনিলিভারের মতো দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রেখে স্থানীয় প্রতিশ্রুতি পালন করা ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো এই রূপান্তরের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। টেকসই উন্নয়নে তাদের বিনিয়োগই আজকের পৃথিবীর প্রয়োজনীয় কর্পোরেট নেতৃত্বের উদাহরণ।

তিনি আরও বলেন, কর্মক্ষেত্রে নারীদের সহযোগিতা করা থেকে শুরু করে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারে নেতৃত্ব এবং বিজ্ঞাননির্ভর উদ্ভাবনে বিনিয়োগ-এইসব কাজের মধ্য দিয়ে ইউনিলিভার তাদের মূল লক্ষ্য ‘সবার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা’ বাস্তবায়ন করে চলেছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাস “যা বাংলাদেশের জন্য ভালো, সেটাই ইউনিলিভারের জন্য ভালো।

ইউবিএলের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর শামিমা আক্তার বলেন, আমরা আমাদের ঐতিহ্য নিয়ে গর্বিত, আমাদের লক্ষ্য নিয়ে গর্বিত, এবং বাংলাদেশের মানুষের পাশে থাকতে পেরে গর্বিত। এই যাত্রায় পাশে থাকার জন্য আমরা যুক্তরাজ্যের অংশীদার এবং বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের প্রতিশ্রুতি শুধুই ব্যবসার প্রতি নয়, এই দেশের মানুষের কল্যাণ ও অগ্রগতির প্রতিও। 

এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতি ইউনিলিভারের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় যার শিকড় স্থানীয়ভাবে গভীর এবং যার রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি আস্থাভিত্তিক অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউন ল ভ র ইউন ল ভ র র ইউন ল ভ র ব র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

বাবা দিবসে শাকিব খানের দুই রাজপুত্র ভাইরাল!

একদিকে হারমোনিয়ামে সুরের ঝরনা, অন্যদিকে কৌতুক ছড়ানো করপোরেট জবাব—এই দুয়ে মিলে রীতিমতো ভাইরাল ‘বাবা দিবস স্পেশাল’ হয়ে উঠলেন ঢালিউডের কিং শাকিব খান ও তার দুই ছেলে, জয় ও বীর।
রবিবার (১৫ জুন) রাতে বাবা দিবস উপলক্ষে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে দুটি আলাদা ভিডিও। একটির নায়ক বড় ছেলে আব্রাম খান জয়, অন্যটি তার ছোট ভাই শেহজাদ খান বীর। 

জয়ের ভিডিওটি এসেছে মায়ের (অপু বিশ্বাস) ব্যবস্থাপনায় চালিত ফেসবুক পেজ থেকে। সেখানে দেখা যায়, ছোট্ট জয় বাবার পাশে বসে হারমোনিয়ামে গান করছে। ক্যাপশনে লেখা, “আমার অসাধারণ বাবাকে বাবা দিবসের শুভেচ্ছা। পৃথিবীর সেরা বাবাকে নিয়ে উদযাপন করছি।”

ভিডিওতে স্পষ্ট—শাকিব শুধু বড় পর্দার তারকা নন, জয়ের কাছে তিনিই তার জীবনের সুর।

আরো পড়ুন:

পাইরেসির কবলে শাকিবের ‘তাণ্ডব’!

সিরাজগঞ্জে শাকিবের ‘তাণ্ডব’ নেই আশানুরূপ দর্শক

অন্যদিকে বীরের মজার ভিডিওটি এসেছে তার মা বুবলীর পেজ থেকে। ক্যামেরার সামনে বাবা শাকিব জিজ্ঞেস করেন, ‘তোমার বাবা কে?’ বীর বলে, ‘থালাইবা...’ শাকিব আবার জানতে চান, ‘আমরা কোন গ্রুপের মালিক?’ উত্তরে বীর বলে, ‘এসকে গ্রুপ।’ এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, “যেমন বাবা তেমন ছেলে। বাবার ভালোবাসা সবসময় ছেলের হৃদয়ে অঙ্কিত থাকবে।” 

এই দুটি ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। লাখ লাখ মানুষ দেখেছেন এবং মন্তব্যে ভরিয়ে দিয়েছেন ভালোবাসা ও প্রশংসায়। অনেকেই বলছেন— “শাকিব যেমন সুপারস্টার, তেমনই সুপারড্যাড। ব্যস্ততার মাঝেও ছেলেদের সময় দেওয়া যে কারো পক্ষে সম্ভব, শাকিব সেটার সুন্দর উদাহরণ।” 

এদিকে, ঈদুল আজহায় মুক্তি পাওয়া ‘তাণ্ডব’ সিনেমা এখনো প্রেক্ষাগৃহে সগৌরবে প্রদর্শিত হচ্ছে। শাকিব খান এখন যেন দুই ফ্রন্টেই রাজত্ব করছেন—একদিকে সিনেমা হলে, আরেকদিকে দুই ছেলের হৃদয়ে।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ