৫০৪ রানের জয়, ১৩৫ বছরের পুরোনো কাউন্টি ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড
Published: 14th, April 2025 GMT
টেস্ট ক্রিকেটের জন্ম ১৮৭৭ সালে। এর ১৩ বছর পর ১৮৯০ সালে ইংল্যান্ডের শীর্ষ ঘরোয়া লিগ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। সেই থেকে দুই বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া আর কিছু বাধা হতে পারেনি প্রথম শ্রেণির এই ক্রিকেট টুর্নামেন্টের। ১৩৫ বছরের পুরো সেই কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে রানের হিসাবে সবচেয়ে বড় জয়টা দেখল এই ২০২৫ সালে এসে। গতকাল কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম বিভাগে উস্টারশায়ারকে ৫০৪ রানে হারিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে ইয়র্কশায়ার।
হেডিংলিতে প্রথম ইনিংসে ৪৫৬ রান করা ইয়র্কশায়ার দ্বিতীয় ইনিংস ছেড়ে দেয় ৩১৫ রান তুলে। তাতে প্রথম ইনিংসে ১৬২ রানে গুটিয়ে যাওয়া উস্টারশায়ার ৬১০ রানের লক্ষ্য পায়। রান তাড়ায় উস্টার অলআউট ১০৫ রানে। ৭২ থেকে ১০৫, ৩৩ রান তুলতেই শেষ ৮ উইকেট হারিয়েছে উস্টার।
কাউন্টিতে রানের হিসাবে এই প্রথম ৫০০ রানের ব্যবধানে জিতল কোনো দল। আগের রেকর্ডটি ছিল ৪৮৩ রানে। ২০০২ সালে লিস্টারশায়ারকে এই ব্যবধানে হারিয়েছিল সারে। সারে ভেঙেছিল ৮৯ বছরের পুরোনো রেকর্ড। ১৯১৩ সালে সাসেক্স গ্লস্টারশায়ারকে ৪৭০ রানে হারিয়ে রেকর্ডটি করেছিল।
ডন ব্র্যাডম্যানের অভিষেক টেস্টে ইংল্যান্ডের কাছে রেকর্ড ৬৭৫ রানে হারে অস্ট্রেলিয়া.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’