এবার সতীর্থ আলবাকে কামড়ে দিলেন সুয়ারেজ
Published: 14th, April 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে লিওনেল মেসির সঙ্গে ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন লুইস সুয়ারেজ। ওই দলে আছেন তাদের বার্সার সাবেক সতীর্থ জর্ডি আলবা ও সার্জিও বুসকেটস।
এর মধ্যে লস এঞ্জেলেসের বিপক্ষে গত ১০ এপ্রিল কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে খেলতে নামে ইন্টার মায়ামি। ম্যাচে ছিলেন সাবেক বার্সা ত্রয়ী মেসি-সুয়ারেজ ও আলবা। ম্যাচটি ইন্টার ৩-১ গোলে জিতেছে।
ওই ম্যাচের ৮৯ মিনিটের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যাতে দেখা গেছে সতীর্থ জর্ডি আলবার আঙুলে কামড়ে দিয়েছেন সুয়ারেজ।
ভিডিওতে দেখা যায় জটলার মধ্যে সতীর্থ আলবার কাঁধে হাত দিয়ে জোরে চাপ দেন সুয়ারেজ। এতে ব্যথা পেয়ে আলাবা তার হাত উঁচু করলে আঙুলে কামড়ে দেন সাবেক বার্সা ও উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। ধারণা করা হচ্ছে, সুয়ারেজ মনে করেছিলেন আঙুলটা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের।
ওই সময় আলবাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন সাবেক চেলসি ও এসি মিলানের ফ্রান্স স্ট্রাইকার অলিভার জিরু। এটি সুয়ারেজের ফুটবল ক্যারিয়ারে মাঠে চতুর্থবার কামড়ের ঘটনা।
তিনি ২০১৪ বিশ্বকাপে কামড় কাণ্ডে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছিলেন। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে তিনি ইতালির ডিফেন্ডার কিয়েল্লিনির কাঁধে কামড়ে দিয়েছিলেন। দাঁতের দাগ পর্যন্ত বসে গিয়েছিল ইতালির সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের কাঁধে।
এর আগে ২০১০ সালে আয়াক্সে খেলাকালীন এই স্ট্রাইকার উসমান বাক্কালকে কামড়ে দিয়েছিলেন। ওই ঘটনায় তিনি সাত ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। এরপর ২০১৩ সালে লিভারপুলে খেলার সময় চেলসির ব্রানিসলাভ ইভানোভিককে কামড়ে ১০ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন। কিয়েল্লিনিকে কামড়ের ঘটনায় তিনি ৪ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। এবার সতীর্থকে কামড় দেওয়ায় তিনি নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইন ট র ম য় ম
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে ১ হাজার ৩০০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাই
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এসব কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সিএনএনের হাতে আসা একটি অভ্যন্তরীণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে, এই ছাঁটাইয়ের আওতায় পড়বেন মন্ত্রণালয়ের সিভিল সার্ভিসের ১ হাজার ১০৭ কর্মকর্তা এবং ফরেন সার্ভিসের ২৪৬ কর্মকর্তা। এ ছাড়া এই পরিবর্তনের ফলে মন্ত্রণালয়ের শত শত কার্যালয় ও ব্যুরো বিলুপ্ত বা পুনর্গঠন করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে প্রায় ৩ হাজার সদস্যকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ত্যাগ করতে হবে। এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ের চাকরিচ্যুত করা কর্মীদের পাশাপাশি যাঁরা স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ছেন, তাঁরাও রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৫ সালের ২২ এপ্রিলে প্রথমবারের মতো মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পুনর্গঠনের ঘোষণা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সেই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে দপ্তরটি অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সুশৃঙ্খল করছে, যাতে কূটনৈতিক অগ্রাধিকারে বেশি গুরুত্ব দেওয়া যায়।’
যেসব ফরেন সার্ভিস কর্মকর্তাকে শুক্রবার জনবল হ্রাসের নোটিশ দেওয়া হবে, তাঁদের ১২০ দিনের জন্য প্রশাসনিক ছুটিতে রাখা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এরপর তাঁদের চাকরি মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হবে। আর চাকরিচ্যুত হওয়া অধিকাংশ সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তাকে প্রথমে ৬০ দিনের ছুটিতে রাখা হবে। এরপর তাঁদের ছাঁটাই কার্যকর হবে।