জাতি এবার হিন্দুত্ববাদ প্রভাবমুক্ত বাঙলা নববর্ষ উদযাপন করল: ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ
Published: 14th, April 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম বলেছেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর্যন্ত নববর্ষ উদযাপনের নামে ভারতীয় হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি পালনে আমাদেরকে বাধ্য করা হয়েছিলো। এই প্রথম জাতি হিন্দুত্ববাদ প্রভাবমুক্ত বাঙলা নববর্ষ উদযাপন করল।”
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে পুরানা পল্টনে আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আহমদ আবদুল কাইয়ুম বলেন, “বিগত ১৬ বছল ফ্যাসিবাদী হাসিনার সরকার ভারতের পদলেহন করে দেশকে ভারতের হিন্দুয়ানি সংস্কৃতির আদলে সাজিয়ে মুসলিম ঐতিহ্যকে ধুলিসাৎ করে দিয়েছিলো। যা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিলো তা মুসলমানদের সংস্কৃতি ছিল না। মুসলমানদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে, তা বিস্তারে কাজ করা উচিত। বিদেশি সংস্কৃতির নামে হিন্দুয়ানি ও পশ্চিমা সংস্কৃতি আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে ব্যর্থ হলে জনগণের দুঃখ দুর্দশার অন্ত থাকবে না। ফ্যাসিবাদের পতনের পর একটি দল যেভাবে দেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে এবং ফ্যাসিবাদের জায়গাগুলো দখল করছে, তা কোনভাবেই কাম্য নয়। দলীয় সরকার নয়.
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ কামরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি নুরুজ্জামান সরকার, সেক্রেটারি জেনারেল রাকিবুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ নাঈম, দপ্তর সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস, অর্থ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের সাক্ষাৎ
ঢাকাস্থ সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. মিচেল লি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাবি উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে হাইকমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারি ধান্যা লিঙ্গেশ, হিউ কক সিয়াং, ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মো. হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
উত্তরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলা, আহত ৫
ছাত্রদলের দেওয়া বিবৃতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি: ডুজা
সাক্ষাৎকালে তারা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যৌথ সহযোগিতামূলক শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণের সম্ভাব্যতার নিয়ে আলোচনা করেন।
সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. মিচেল লি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষা সহযোগিতা জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পর্কে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে অবহিত করেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন এবং এর শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশের জন্য অতিথিদের ধন্যবাদ জানান।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এর উদ্যোগে আয়োজিত অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. মিচেল লি ‘মেকিং ফ্রেন্ড অ্যান্ড স্টেইং রেলিভ্যান্ট: সিঙ্গাপুরস ফরেন পলিসি এক্সপ্লেইন্ড’ শীর্ষক বিশেষ বক্তব্য দেন।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. সামসাদ মর্তুজার সভাপতিত্বে এতে ঢাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুরের বৈদেশিক নীতি ও কূটনৈতিক কৌশলসমূহ তুলে ধরে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মি. মিচেল লি বলেন, “সিঙ্গাপুর বিশ্ব রাজনীতি, বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বৈশ্বিক সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। সিঙ্গাপুরের এই সফলতার পেছনে রয়েছে প্রাণবন্ত অর্থনীতি, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা, সামাজিক স্থিতিশীলতা ও সংহতি, বৈশ্বিক বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং বিশ্বাসযোগ্য ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অংশীদারিত্বের নীতি।”
শিক্ষা, গবেষণা, অর্থনীতি, বাণিজ্যসহ দ্বিপাক্ষিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুর একযোগে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী