বৈশাখী মেলায় রঙিন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির নববর্ষের আয়োজন
Published: 15th, April 2025 GMT
বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বৈশাখী মেলা ১৪৩২’। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাব এ মেলার আয়োজন করে।
মেলার উদ্বোধন করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রব খান।
এবারের মেলায় নাগরদোলা, বায়োস্কোপ, পুতুলনাচসহ গ্রামবাংলার নানা সাংস্কৃতিক আবহ তুলে ধরা হয়েছে। বাঙালি সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ আর খাবারের আয়োজন নিয়ে মেলায় অংশ নেয় ৩৬টি স্টল, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তারা ছিলেন।
দিনব্যাপী আয়োজিত এ মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও কর্মকর্তারা অংশ নেন। এর আগে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে একটি শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
মেলার আয়োজন নিয়ে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সোশ্যাল সার্ভিস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মৌরিন ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বৈশাখী মেলা শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং আমাদের শিকড়কে ছুঁয়ে দেখার এক উপলক্ষ; যেখানে ঐতিহ্য, প্রাণবন্ত আড্ডা আর একতার আনন্দ আমাদের মনে করিয়ে দেয়—আমরা সংস্কৃতির বাহকও।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’