ঘাম না থুতু—কোন জাদুতে স্টার্কের একের পর এক ইয়র্কার
Published: 17th, April 2025 GMT
ইয়র্কারের গুণের অভাব নেই। ঝুঁকিও আছে! জায়গামতো না পড়লেই তো হয় ফুলটস, নয় হাফ ভলি। এই যুগে এই দুটি ডেলিভারির একটি পেলেই তো বল গ্যালারিতে। আর ইয়র্কার সবাই নিখুঁতভাবে মারতেও পারেন না। বোলারের সামর্থ্যের বিষয় তো আছেই।
তবে কাল আইপিএলে মিচেল স্টার্ক একাই করেছেন একের পর এক ইয়র্কার। নিজের করা শেষ ৩ ওভারের মধ্যে ১৭টিই ইয়র্কার মেরেছেন এই বাঁহাতি পেসার। এভাবেই হারের পথে থাকা দিল্লিকে ক্যাপিটালসকে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে জিতিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা।
কাল স্টার্ক কী করেছেন৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৩৬। উইকেট ১টি। এই পরিসংখ্যান আসলে একেবারেই অর্থহীন। অন্যভাবে বলাই শ্রেয়। স্টার্ক কাল শেষ ওভারে দিল্লির হয়ে ৯ রান ডিফেন্ড করেছেন। এরপর সুপার ওভারেও আটকে রেখেছিলেন শিমরন হেটমায়ারদের।
শেষ ৩ ওভারে রাজস্থানের লাগত ৩১ রান। ক্রিজে ২৬ বলে ৫০ রানে অপরাজিত নীতিশ রানা ও ১০ বলে ১৩ রান করা ধ্রুব জুড়েল। মানে জয়ে রাজস্থানই ফেবারিট। এমন পরিস্থিতিতে ইয়র্কারের ওভার শুরু করেন স্টার্ক। তবে তাঁর আসল জাদু দেখা যায় ওভারের চতুর্থ বলে। ইনসুইং ইয়র্কারে এলবিডব্লু রানা। ক্রিজে আসা হেটমায়ারকেও একই রকম ইয়র্কার সামলাতে হয়। সৌভাগ্যবশত ইনসাইড এজে চার হয়। সেই ওভার থেকে মোট রান আসে ৮।
আইপিএল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইয়র ক র
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’