রোহিঙ্গাদের জন্য ১ কোটি ২৭ লাখ ডলার দেবে সুইডেন
Published: 17th, April 2025 GMT
সুইডেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের আট অংশীদারের মাধ্যমে ১ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৫৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা মানবিক সহায়তা দেবে। এসব অর্থ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার পাশাপাশি কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকাস্থ সুইডিশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, এমন সম্প্রদায়গুলোকে সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় এনজিওগুলোকে জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে সক্ষম করার জন্যও এ তহবিল থেকে সহায়তা করা হবে।
সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক প্রয়োজন মেটাতে সুইডেন দৃঢ়ভাবে বাংলাদেশের পাশে আছে, যেমনটি আমরা গত সাত বছর ধরে করে আসছি। ক্রমবর্ধমান মানবিক চাহিদার কারণে এ বছর আমরা গত বছরের তুলনায় প্রাথমিক বরাদ্দ বাড়াচ্ছি, কক্সবাজারে যেখানে বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির অবস্থিত’।
সুইডিশ তহবিল ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপি, নরওয়েজিয়ান শরণার্থী কাউন্সিল, ইসলামিক রিলিফ, অ্যাকশন অ্যাগেইনস্ট হাঙ্গার, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটির জন্য ব্যবহার করা হবে। এ তহবিল খাদ্য সহায়তা ও পুষ্টি, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধ ও শিশু সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জরুরি শিক্ষা, পানি ও স্যানিটেশনের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবায় ব্যয় করা হবে।
এছাড়াও জরুরি পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে সক্ষম, এমন ২৬টি স্থানীয় ও জাতীয় সংস্থাকে সহায়তা করার জন্য সুইডেন স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব করছে।
সুইডেন বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মানবিক দাতা এবং ইউএনএইচসিআর, ডব্লিউএফপি, ইউনিসেফ, ইউএনএফপি এর পাশাপাশি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় জরুরি প্রতিক্রিয়া তহবিলের (সিইআরএফ) মূল সহায়তা সরবরাহকারীদের মধ্যে অন্যতম শীর্ষ।
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শরণ র থ র জন য সহ য ত তহব ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’