ঢাবিতে কোভিডবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
Published: 17th, April 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘ডিস্কোভারিং কোভিড: দ্য বিগিনিং অ্যান্ড বাইয়োন্ড’ শীর্ষক সেমিনার অনু্ষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। এতে বিশেষ বক্তব্য দেন ডাচ ভাইরাসবিদ অধ্যাপক ড.
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে হামলায় জড়িতদের শনাক্তে শিক্ষার্থীদের ছায়া কমিটি
মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুনদাতাদের গ্রেপ্তার দাবি
অধ্যাপক ড. আলবার্ট অস্টারহাউস বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ভাইরোলজিস্টদের একজন, যিনি সার্স-কোভ-১ আবিষ্কার এবং জুনোটিক মহামারিবিষয়ক কাজের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তার ১ হাজার ৩৫০টির বেশি প্রকাশনা রয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি সফল বায়োটেক উদ্যোগও নিয়েছেন তিনি।
অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য দেন, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. এনামুল হক, ফার্মেসি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. সেলিম রেজা, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদ হোসেন প্রমুখ। স্বাগত ও সমাপনী বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ।
উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “ভাইরাস থেকে মানুষকে বাঁচাতে বাংলাদেশ তথা পুরো বিশ্ব সংগ্রাম করছে। ডাচ ভাইরাসবিদকে নিয়ে আজকের এই আয়োজন আমাদের জন্য আসলে একটি বিশেষ সুযোগ। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমি আশা করি আজকের এ আয়োজন আমাদের পথ দেখাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই আয়োজন করলেও আমরা সারাদেশের প্রতিটি সেক্টরকে আমন্ত্রণ জানাতে চাই। যাতে একসঙ্গে আমরা সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে পারি।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।