অস্ট্রেলিয়ায় হাউজফুল, দাগি এবার মুক্তি পাচ্ছে আমেরিকার ১৫ শহরে
Published: 18th, April 2025 GMT
শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দাগি’ অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তি পেয়েছে ১২ এপ্রিল। মুক্তির পর থেকেই সিডনির প্রতিটি শো হাউসফুল যাচ্ছে বলে খবর এসেছে। সিনেমাটির আবেগঘন মুহূর্তগুলো মন ছুঁয়ে গেছে প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকদের। সিনেমা শেষে চোখের পানি গড়িয়ে পড়েছে দর্শকের।
দাগির বিদেশ যাত্রায় এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। আগামী ২৫শে এপ্রিল শিহাব শাহিন পরিচালিত সিনেমাটি একযোগে মুক্তি পাচ্ছে নিউ ইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকার মোট ১৫টি শহরে। বায়োস্কোপ ফিল্মস-এর ব্যানারে এটি পরিবেশিত হতে যাচ্ছে, যা প্রতিষ্ঠানটির ৪৯তম পরিবেশনা।
নিউ ইয়র্কের কেউ গার্ডেন সিনেমাসে দাগির জন্য সাতদিনব্যাপী ২১টি শোয়ের বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তির দিন থেকে যে শহরগুলোতে ‘দাগি’ দেখা যাবে সেগুলো হলো— নিউ ইয়র্ক, বোস্টন , ডেট্রয়েট , সান ফ্রান্সিস্কো , আটল্যান্টা , ড্যালাস , কানেকটিকাট , ফিনিক্স , শিকাগো, পিনিয়াপলিস, লস অ্যাঞ্জেল,ওকলাহোমা সিটিসহ বেশ কয়েকটি সিটিতে।
এরপর ২ মে থেকে যুক্ত হচ্ছে আরও ১৩টি শহর, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে —ওয়েস্ট পাম বিচ, পোর্টল্যান্ড, সিয়াটেল, অস্টিন, স্যাক্রামেন্টো, নিউ জার্সি, ভার্জিনিয়া, শার্লট, মিয়ামি, সান দিয়েগো এবং আরও কিছু শহরে।
সিনেমাটি আন্তর্জাতিক পরিবেশনা সংস্থা বায়োস্কোপ ফিল্মস ৪৯তম পরিবেশনা। সিনেমাটি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রাজ হামিদ ও নওশাবা রশিদ জানান, “দাগি আমাদের ৪৯তম পরিবেশনা। এই সাড়ে ছয় বছরের পথচলায় আমাদের যতটুকু অর্জন, তার কৃতিত্ব সম্পূর্ণভাবেই উত্তর আমেরিকার বাংলা সিনেমার দর্শকদের। তাদের ভালোবাসা ও সমর্থনের ঋণে আমরা আবদ্ধ। দাগি নিয়ে আমরা অত্যন্ত আশাবাদী। বাংলাদেশের দর্শকদের মত এই ছবি এখনকার দর্শকদের মনে সত্যিই দাগ কাটবে বলে আমার বিশ্বাস।
দাগি নিয়ে সিনেমাটির পরিচালক শিহাব শাহীন বলেন, দাগি সম্পূর্ণ একটি বাংলাদেশের ছবি। দেশের বাইরেও শুটিংয়ের প্রস্তাব ছিল, কিন্তু আমি সম্পূর্ণ দেশের লোকেশনেই শুট করেছি। পুরো ছবিটিই বাংলাদেশের গন্ধে ভরপুর।। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের মত উত্তর আমেরিকার দর্শকদের কাছেও সিনেমাটি দারুণভাবে সাড়া ফেলবে।
চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে বাংলাদেশের আলফা আই ও ভারতীয় প্রযোজনা সংস্থা । বিভিন্ন চরিত্রে এতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো, তর্মা মির্জা, সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিমসহ অনেকেই।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ তম ম র জ আম র ক র পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত