মালদ্বীপে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে মালদ্বীপের রাজধানী মালের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রাঙ্গণে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে প্রবাসীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো.

সোহেল পারভেজ।

মালদ্বীপে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশি, কূটনীতিক, স্থানীয় অতিথি এবং বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি এ আয়োজনে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে ছিল নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি এবং ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারের আয়োজন। অতিথিরা বাঙালি পোশাকে সজ্জিত হয়ে অনুষ্ঠানকে আরো রঙিন করে তোলেন।

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “প্রবাসে থেকেও বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধারণ ও লালন করাই আমাদের এ আয়োজনের উদ্দেশ্য। এ ধরনের অনুষ্ঠান প্রবাসে আমাদের পরিচিতি ও বন্ধুত্বের পরিসরকে আরো বিস্তৃত করে।”

বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরার লক্ষ্যে হাইকমিশন ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন হাইকমিশনার।

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন প রব স

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা