একটানা ৬৫ ঘণ্টার বেশি গান শোনা যাবে, এমন ব্যাটারি–সক্ষমতার একটি ফোন বাজারে এনেছে ভিভো। আলট্রা স্লিম ডিজাইনের ভিভো ভি৫০ লাইট মডেলে আছে ৬ হাজার ৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি, যার মাধ্যমে টানা ৬০ ঘণ্টার বেশি গান কিংবা ১৮ ঘণ্টা যেকোনো ভিডিও স্ট্রিম বা সিনেমা দেখা যাবে কোনো ঝামেলা ছাড়াই।

জনপ্রিয় তারকা ও শুভেচ্ছাদূত তাহসান রহমান খানের উপস্থিতিতে গতকাল শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয় ভিভোর নতুন স্মার্টফোন ভিভো ভি৫০ লাইট। শক্তিশালী ৬ হাজার ৫০০ এমএএইচ ব্লু-ভোল্ট ব্যাটারির কারণে স্টাইল ও কার্যক্ষমতা—দুটোরই ভারসাম্য রক্ষা করছে এই স্মার্টফোন। মাত্র ৭ দশমিক ৭৯ মিমি পুরু ও ১৯৬ গ্রাম ওজনের ফোনে দেওয়া হয়েছে বিশাল ৬ হাজার ৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি, যা দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্সের পাশাপাশি নিশ্চিত করবে স্টাইল ও আরাম। হাই গ্লস ফিনিশড মেটাল ফ্রেমের স্মার্টফোনটির অত্যন্ত সরু বেজেল-এর ৬ দশমিক ৭৭ ইঞ্চির এফএইচডি এবং ২ দশমিক ৫ডি পো-লেড স্ক্রিন ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্সকে করবে আরও প্রাণবন্ত।

দুটি রঙে পাওয়া যাবে ভি৫০ লাইট। ভিভো বাংলাদেশের ডেপুটি রিটেইল ম্যানেজার হামীম আসগর স্মার্টফোনটি সম্পর্কে বলেন, স্মার্টফোনে আলট্রা ক্লিয়ার সানলাইট ডিসপ্লেসহ ১২০ হার্জ আলট্রা ভিশন রিফ্রেশ রেট থাকার ফলে স্ক্রলিং, গেমিং বা ভিডিও দেখা যাচ্ছে স্মুথ ও প্রাণবন্ত উপায়ে। এ ছাড়া ফোনটিতে আছে ১ হাজার ৮০০ নিট পর্যন্ত ব্রাইটনেস ও সার্টিফায়েড এসজিএস লো লাইট, যা দীর্ঘ সময় ফোন ব্যবহারেও সুরক্ষা দেয় চোখকে। স্মার্টফোনে শক্তিশালী ৬ হাজার ৫০০ এমএএইচ ব্লু-ভোল্ট ব্যাটারির সঙ্গে ৯০ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জ নিশ্চিত করে দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ আর সুপারফাস্ট চার্জিং। মাত্র কয়েক মিনিটের চার্জেই পাওয়া যাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাকআপ। এক কাপ কফি খাওয়ার সময়ে ৭০ শতাংশ চার্জ করা যায় ফোনটিতে। আর রিভার্স চার্জিং সুবিধার জন্য অন্য সব গ্যাজেটেও চার্জ করা যাবে এই ফোন দিয়ে। স্মার্টফোনটিতে ৫ বছর পরও ব্যাটারি ৮০ শতাংশের বেশি সক্ষমতা ধরে রাখবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে, টেকসই ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করতে ফোনটিতে রয়েছে মিলিটারি গ্রেড সুরক্ষা, ৫-স্টার ড্রপ রেজিস্ট্যান্স এবং শক্তিশালী শিল্ড গ্লাস, যা ২০ শতাংশ বেশি ধাক্কা সহ্য করতে পারে। আইপি৬৫ সার্টিফিকেশন থাকায় ফোনটি পানি ও ধুলাবালুতেও নিরাপদ। স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ প্রসেসর দিয়ে কাজ চলবে দ্রুত, গেমিং বা ভিডিও—সবকিছু হবে মসৃণভাবে। ৫০ মেগাপিক্সেল সনি আইএমএক্স৮৮২ সেন্সর ও অরা লাইট পোর্ট্রেট প্রযুক্তির ফোনটি দিয়ে কম আলোতেও প্রফেশনাল কোয়ালিটির ছবি তোলা যাবে। ৩২ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরায় সেলফিগুলোও হবে নিখুঁত ও স্টুডিও-লুকের।

ভিভো ভি৫০ লাইটের অনুষ্ঠানে ভিভো বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর ডেভিড লি বলেন, ‘বাংলাদেশে উদ্ভাবনের প্রতি মানুষের দুর্দান্ত আগ্রহ ও প্রাণচঞ্চলতা দেখাটা সত্যিই আনন্দদায়ক। ভিভোতে আমরা সব সময় এমন প্রযুক্তি ও ডিজাইন দিতে চেষ্টা করি, যা প্রিমিয়াম হলেও ব্যবহারকারীদের জন্য দামের দিক থেকে যথার্থ। ভি৫০ লাইট তারই চমৎকার একটি উদাহরণ—এটি শক্তিশালী ফিচার, দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন এবং সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করা ক্যামেরা এক্সপেরিয়েন্সের এক নিখুঁত সমন্বয়। স্মার্টফোনটি আলট্রা স্লিম এবং আগের চেয়েও বেশি শক্তিশালী।’

নতুন এ ফোনের ৮ জিবি+, ৮ জিবি এক্সটেন্ডেড র‌্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের দাম ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা, আর ২৫৬ জিবি ভেরিয়েন্টের দাম ৩২ হাজার ৯৯৯ টাকা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ নট ত আলট র

এছাড়াও পড়ুন:

করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ 

রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। 

ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’ 

এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ