নারায়ণগঞ্জে নকশা না মেনে ভবন নির্মাণ, ১ লাখ টাকা জরিমানা
Published: 20th, April 2025 GMT
নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের কারণে নারায়ণগঞ্জে নির্মাণাধীন একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাশাপাশি ভবনের নির্মাণকাজ স্থগিত রাখতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের আলম খান লেন এলাকায় স্টার ভিউ হাউজিং লিমিটেড নামের একটি আবাসনপ্রতিষ্ঠানকে এ জরিমানা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা পারভীনের নেতৃত্বে এই অভিযান হয়। এ সময় নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের দায়ে বেজমেন্টের কয়েকটি কলামের রড গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে দেওয়া হয়। এ সময় নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সঙ্গে ওই ভবনের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং নির্মাণকাজ স্থগিত রাখতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তাহমিনা পারভীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী, নির্মাণাধীন ভবনের সামনে সব তথ্যসহ একটি সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও সেটি আমরা দেখতে পাইনি। ভবন নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যে নকশা দেখিয়েছে, তার সঙ্গে কাজের অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয়েছে। নকশার বাইরে যতটুকু কাজ করা হয়েছে, সেগুলোর কলামের রড গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে অপসারণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ওই ভবনের বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং নির্মাণকাজ স্থগিত রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রাজউক থেকে অনুমোদন নিয়ে আবাসনপ্রতিষ্ঠান স্টার হাউজিং ভবনের নির্মাণকাজ করছিল বলে দাবি করেন জমির মালিক কামাল হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা জমির মালিকেরা নকশাবহির্ভূতভাবে ডেভেলপার কোম্পানিকে কোনো কাজ করতে দেব না। রাজউক নোটিশ দিলেও ডেভেলপার কোম্পানি লিখিতভাবে জবাব না দেওয়ায় এই অভিযান চালিয়েছে তারা।’
অভিযানের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউকের কর্মকর্তা এফ আর আশিক আহমেদ ও ইমারত পরিদর্শক রাজিকুল ইসলাম।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভবন ন র ম ণ ভবন র র জউক
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।