রূপগঞ্জে রাজউকের অভিযান, জরিমানা ২ লাখ
Published: 21st, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অনুমোদনীন নকশা বহির্ভূত কয়েকটি ভবনে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
রোববার বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার তারাবো পৌরসভার রুপসী এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কয়েকটি ভবনের অনুমোদনহীন নকশা বহির্ভূত বর্ধিত অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়।
নিয়ম না মেনে ও রাজউকের অনুমোদন না নিয়ে নকশা বর্হিভুত ভবন নির্মান করার দায়ে ৩ ভবন মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আরো ২ ভবনের নির্মান কাজ বন্ধ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
উপজেলার তারাব পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
এ সময় তারাব পৌর এলাকার মামুন প্রধানের নির্মানাধীন দোতলা ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। আগামী ৩ মাসের মধ্যে রাজউকের অনুমতি নিয়ে কাজ করা নির্দেশ প্রদান করেন। অন্যদিকে যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন হসপিটালের নির্মানাধীন ৬ তলা ভবনের কাজ বন্ধ করে, বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এসময় রূপসী এলাকার সিদ্দিকুর রহমান কে নিয়ম না মেনে ও অনুমোদন বিহীন নকশা বর্হিভুত দোতলা ভবন নির্মান করায় ৫০ হাজার টাকা, তালিমুন নেছা হিফজুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসার ৫ তলা ভবন নকশা বহির্ভূত আংশিক ভেঙ্গে দিয়ে ১ লাখ টাকা ও দোতলা ভবন মালিক ইব্রাহীম প্রধানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনির হোসেন হাওলাদার বলেন, ড্যাব অন্তভূক্ত সকল সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় রাজউকের অনুমোদন ছাড়া কোন আবাসিক বা বানিজ্যিক ভবন করা আইন বহিঃভূত। কিন্ত তারাব পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা খর্ব করে ভবন নির্মানের কাজ চলছে।
নিয়ম না মেনে ও রাজউকের অনুমোদন না নিয়ে ভবন নির্মান করার দায়ে ৩ ভবন মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া আরো ২ ভবনের নির্মান কাজ বন্ধ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এক ভবন মালিকের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করা হয়েছে। রাজউকের অনুমোদন ছাড়া অপরিকল্পিতভাবে বিল্ডিং নির্মাণের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজউকের জোন ৬/৩ এর অথরাইজড অফিসার জান্নাতুল মাওয়া, সহকারী অথরাইজড অফিসার সুরোত আলী রাসেল, ইমরাত পরিদর্শক আব্দুর রহিমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের প্রতিনিধি দল।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ভবন ন র ম ন ভবন ম ল ক ভবন র প রসভ ন নকশ
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’