ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরস্কার বিতরণী  ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল)সকালে ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণী  ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। 

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্কুলের শিক্ষক  মোতালেব হোসেন  অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সদস্য নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবিকা শিক্ষানুরাগী সেলিনা সুলতানা, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কাজী মাঈনুদ্দিন,ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য হাবিবুর রহমান আজাদ। 

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সকল শিক্ষক বৃন্দ, সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন,আমি নিজেই এই স্কুলের ছাত্র। আমার মা এই স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। এবং স্কুলটির জমিটি দান করেছিলেন আমার দাদা মরহুম ওয়াহেদ বক্স চৌধুরী।  স্কুলের উন্নয়নের প্রসঙ্গে তিনি বলেন স্কুলটির উন্নয়নে তিনি সর্ব প্রকার সহোযোগিতা করবেন।

যদিও স্কুলটি সরকারি তারপর ও আমাদের সকলের উচিত স্কুলের উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসা। বাৎসরিক ভাবে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে আরো আরো বেশী অনুষ্ঠান আয়োজন করার প্রস্তাব দেন। স্কুলটির উন্নয়নে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার জন্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের তাগিদ দেন এবং সর্বপ্রকার সহোযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবিকা শিক্ষানুরাগী সেলিনা সুলতানা, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিন, ফতুল্লা ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কাজী মাঈনুদ্দিন,ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য হাবিবুর রহমান আজাদ। 

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সালমা সুলতানা সহ স্কুলটির সকল শিক্ষক বৃন্দ, সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।


 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ম হ ম মদ চ ধ র উপস থ ত ছ ল ন অন ষ ঠ ন র প রস সরক র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

ঋণ নেওয়ার আগে যে ১০টি বিষয় অবশ্যই জানা উচিত

নানা কারণে আপনার ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ ব্যক্তিগত ঋণ, গৃহঋণ নেয়। আবার গাড়ি কেনার জন্যও অনেকে ঋণ নেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমেও ঋণ নেওয়া হয়।

কিন্তু অনেকেই ঋণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু মৌলিক শব্দ সম্পর্কে জানেন না। ব্যাংকের কর্মকর্তারা যখন এসব শব্দ বলেন, তখন অনেক কিছুই বোঝেন না ঋণ নিতে ইচ্ছুক গ্রাহকেরা। ফলে নিয়মকানুন না জেনেই ঋণ নেন। এতে নানা অপ্রত্যাশিত ঝামেলা তৈরি হয়। তাই ঋণ নেওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বোঝা খুব দরকার।

১. আসল টাকা (প্রিন্সিপাল)

আপনি যে পরিমাণ টাকা ঋণ নিচ্ছেন, সেটিই আসল। এর ওপরই সুদ ধরা হয়। কিস্তি পরিশোধের সঙ্গে আসল ধীরে ধীরে কমতে থাকে।

২. সুদের হার (ইন্টারেস্ট রেট)

ঋণ নেওয়ার আগে সবচেয়ে ভাবতে হয় সুদের হার নিয়ে। সুদের হার বেশি হলে খরচ বেড়ে যায়। ঋণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুদের হার। এটি স্থিরও হতে পারে, আবার বাজারদরের ওপর নির্ভর করে বাড়তে-কমতেও পারে।

৩. মাসিক কিস্তি (ইএমআই)

ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ বাবদ প্রতি মাসে যে নির্দিষ্ট টাকা আপনাকে দিতে হবে। সেটি হলো ইএমআই বা ঋণের কিস্তি।

৪. ঋণের মেয়াদ

কত বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করতে হবে, সেটিই হলো ঋণের মেয়াদ। মেয়াদ বেশি হলে কিস্তি ছোট হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা বেড়ে যায়। ছোট মেয়াদে কিস্তি বড় হয়। কিন্তু মোট সুদের টাকা কমে।

৫. অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)

শুধু সুদ ও আসল নয়, বরং ঋণের সব খরচ (যেমন ফি, চার্জ) মিলিয়ে আসল ব্যয় কত হবে, তার হিসাব হলো অ্যানুয়াল পারসেন্টেজ রেট (এপিআর)। এটিই প্রকৃত খরচ বোঝায়।

৬. আগাম পরিশোধ (প্রিপেমেন্ট)

ঋণের বোঝা কমাতে অনেকে ঋণের সুদ ও আসলের টাকা আগেই শোধ করে দিতে চান। এতে সুদের খরচ কমে যায়।

৭. প্রসেসিং ফি

আপনি ঋণের জন্য কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। কিন্তু ঋণ আবেদন মঞ্জুর থেকে শুরু করে ছাড় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কিছু মাশুল দিতে হয়। এটিই প্রসেসিং ফি। এটি কখনো ঋণের টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয়, আবার কখনো আলাদা দিতে হয়।

৮. স্থগিতকাল (মোরাটোরিয়াম)

বিশেষ পরিস্থিতিতে কিছুদিনের জন্য কিস্তি বন্ধ রাখার সুযোগকেই বলে স্থগিতকাল। তবে এই সময়েও সুদ জমতে থাকে। অনেক সময় ঋণ পরিশোধের জন্য বিশেষ কিস্তি ভাগও করে দেওয়া হয়।

৯. জামানত (কোলেটারাল)

ঋণের নিরাপত্তা হিসেবে আপনার সম্পদ (যেমন বাড়ি, সোনা, জমি) ব্যাংকে বন্ধক রাখা হয়। কিস্তি না দিলে ব্যাংক ওই সম্পদ বিক্রি করে টাকা তুলে নেয়।

১০. লোন-টু-ভ্যালু রেশিও

আপনি যত টাকা ঋণ নিচ্ছেন আর জামানতের মূল্য কত—এই অনুপাতকে বলে লোন টু ভ্যালু রেশিও (এলটিভি)। এর অনুপাত যত কম হয়, ব্যাংকের ঝুঁকি তত কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ