আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) আরো এক শিক্ষার্থী। মেকানিক্যাল বিভাগের ২২তম ব্যাচের ওই শিক্ষার্থীর নাম সাইফুল ইসলাম। তাকে কুয়েট মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে অনশনে পাঁচ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টানা ৪০ ঘণ্টার অনশনে আন্দোলনরত ২৬ শিক্ষার্থীদের সবাই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন। অনেকের শরীরে রক্তচাপ কমে গেছে।

এদিকে, সকাল থেকে কুয়েটের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ক্যাম্পাসের ফটকগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা সাদিক হোসেন পরামানিক বলেন, ‘‘উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’’

আরো পড়ুন:

তালা ভেঙে কুয়েট ছাত্রীদের হলে প্রবেশ, শিক্ষা উপদেষ্টার ফোন

পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সাময়িক স্থগিত

এদিকে, অনশন প্রত্যাহার করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষকরা। মঙ্গলবার কয়েকবার কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড.

আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনশন প্রত্যাহার করে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানান। উপ-উপাচার্য অনশনস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন এবং তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছেন।

উল্লেখ্য, কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে গত সোমবার বিকেল ৪টা থেকে ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন ৩২ জন শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে অনশনরত শিক্ষার্থী আজিমুল হক সিয়াম কিছুটা অসুস্থ বোধ করলে কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক এসে তাকে স্যালাইন দেন। পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করা হয়। একই দিন জোহরের নামাজের সময় অনশনরত শিক্ষার্থী সাদিক সিদ্দিক ফারিব জ্ঞান হারান। প্রথমে তাকে কুয়েটের মেডিকেল সেন্টার ও পরে নগরীর বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, সোমবার রাতে ২ জন শিক্ষার্থী কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়লে অভিভাবকরা এসে তাদের নিয়ে যান। এছাড়া, এক শিক্ষার্থীর মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদার দাবিতে পিটিয়ে হত্যা, দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদার দাবিতে সিরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোমিনুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাপ্পু (৪০) ও তার ভাই শুক্কুর (৩৭)। তারা উভয় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি বাতানপাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে।

আরো পড়ুন:

ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিটের ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতি, মামলার অনুমোদন

ফেনীতে ছাত্র হত্যা: শেখ হাসিনাসহ ২২১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বলেন, ‘‘সৌদি প্রবাসী জাকির হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনের কাজের তদারকি করতেন সিরাজুল ইসলাম। সে সময় শুক্কুর ও তার ভাই পাপ্পুসহ কয়েকজন সিরাজুলের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেছেন।’’

ঢাকা/অনিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ