সিলেটে দায়িত্ব পালনকালে বিসিবির নিরাপত্তা কর্মকর্তার মৃত্যু
Published: 23rd, April 2025 GMT
বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা চলছে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। মাঠে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ ইকরাম চৌধুরী। প্রতিদিনের মধ্যে আজও নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছিলেন ইকরাম। কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি।
পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় খারাপ অনুভব করেন ইকরাম। দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সিসিইউ ও আইসিইউতে রাখা হয়। রাখা হয় লাইফ সাপোর্টেও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো যায়নি।
২০১৪ সাল থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিরাপত্তার দায়িত্বে পালন করছিলেন ইকরাম। বিভিন্ন সিরিজ, আইসিসি, এশিয়ার ইভেন্ট, বিপিএলে নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাৎক্ষণিকভাবে শোক প্রকাশ করেছে 'সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা সমন্বয়ক ইকরাম চৌধুরী ইকরামের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গভীর শোকাহত। সিলেটের একজন সুপরিচিত ক্রীড়া সংগঠক ইকরাম চৌধুরী ২০১৪ সাল থেকে বিসিবি'র নিরাপত্তা কমিটির সাথে কাজ করছিলেন। আজ দায়িত্ব পালনকালে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং আল হারামাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স ৫০ বছর ছিল। বিসিবি ইকরাম চৌধুরীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহানুভূতি জানাচ্ছে।'
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে দুদকের অভিযান
আগস্টে বাংলাদেশে আসছে ভারত ক্রিকেট দল
সিলেট/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইকর ম চ ধ র করছ ল ন
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষ চিন্তা করতে পারেনি, তারা মনের কথা নির্বিঘ্নে প্রকাশ করতে পারবে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘আমাদের সন্তানেরা জীবন বাজি রেখে রাস্তায় নেমেছিল, আমরাও তাদের সঙ্গে ছিলাম। তারা ফ্যাসিবাদকে বিদায় করেছে। এক বছর আগেও মানুষ চিন্তা করতে পারেনি যে তারা মনের কথা নির্বিঘ্নে প্রকাশ করতে পারবে। কিন্তু আজ সারা দেশের জনগণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই সর্বময় ক্ষমতার মালিক। তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দেন এবং ইচ্ছেমতো কেড়েও নেন। তা আমরা জুলাই বিপ্লবে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছি।’
আজ সোমবার সন্ধ্যায় খুলনার খানজাহান আলী থানা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ‘সহযোগী সদস্য সংগ্রহ অভিযান-২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিয়া গোলাম পরওয়ার এ কথাগুলো বলেন।
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচন নিয়ে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘২০১৪ সালে তারা ষড়যন্ত্র করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন করেছিল। কেউ নির্বাচনে যায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচন ছিল ইতিহাসের আরেক কালো অধ্যায়। যেখানে রাতেই ভোট হয়ে গিয়েছিল। আর এসব নির্বাচনে হাসিনাকে সঙ্গ দিয়েছে জাতীয় পার্টি। আমরা একটা কালো যুগ পার করেছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার মানুষের সব অধিকার হরণ করেছিল। মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি। মানুষকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে দেয়নি। তারা মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেয়নি।’ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘যারা হাত-পা হারিয়েছে, যারা নির্যাতিত হয়েছে, তারা কখনোই এসব খুনিকে ক্ষমা করবে না। খুনিদের বিচার করতে হবে এবং সব স্তরে সংস্কার করে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে, যেখানে কালোটাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব থাকবে না। নির্বাচন জনগণের অধিকার। জনগণই তাঁদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। যাঁরা নির্বাচনে কালোটাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার করতে চাইবেন, জনগণ তাঁদের প্রতিহত করবেন।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতার দম্ভে মানুষের ওপর লাগামহীন জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবিলা না করে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, জেল-জুলম, গুপ্তহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। তারা মনে করেছিল যে তাদের এমন অপশাসন ও দুঃশাসন কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে। কিন্তু আল্লাহ জালিমদের ছাড় দিলেও ছেড়ে দেন না।’
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রসঙ্গে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে ন্যায়বিচার থাকবে, বেকারত্ব ও চাঁদাবাজি থাকবে না। যেখানে মা-বোনেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে না। আমরা সাম্যের ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
খানজাহান আলী থানা জামায়াতের আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি গাজী মোর্শেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মিয়া গোলাম কুদ্দুস ও বায়তুল মাল সেক্রেটারি হাফেজ আমিনুল ইসলাম। গণসংযোগের সময় স্থানীয় মার্কেটের ব্যবসায়ী, পথচারী, স্থানীয় বাসিন্দা, গাড়িচালকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দাওয়াত দেওয়া হয়।