বিজয়কে টেস্টে ফেরানোর ব্যাখ্যা দিলেন নির্বাচক লিপু
Published: 24th, April 2025 GMT
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ দল। ওই টেস্টের দলে ফেরানো হয়েছে এনামুল হক বিজয়কে। তিনি সাদা বলে ডিপিএল খেলছিলেন। তাকে হুট করে টেস্ট দলে ডাকার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানান, প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন বিজয়।
লিপু বলেন, ‘বিজয় সবসময়ই আমাদের প্রক্রিয়ায় ছিল, ভাবনায় ছিল। কাউকে দলে ফেরানোর আগে ‘এ’ দলে সুযোগ দিতে হয়, আমরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি। গত বছর তিনি পাকিস্তানে ‘এ’ দলের সফরে ছিলেন।’
বিজয়ের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘এ’ দলের সিরিজে ছিলেন জাকের আলী। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে টেস্ট দলে ঢুকে জায়গা পাকা করে নিয়েছেন তিনি। তবে পাকিস্তানে গিয়ে বিজয় ভালো করতে পারেননি। বৃষ্টি বিঘ্নের কারণে দুটি চারদিনের ম্যাচের তিন ইনিংসে ব্যাট করতে পেরেছিলেন। ওই তিন ইনিংসে মাত্র ১৮ রান যোগ করেছিলেন টপ অর্ডারে ব্যাট করা বিজয়।
তবে নির্বাচক লিপু জানিয়েছেন, ডিপিএলে ভালো করায় এবং এনামুলকে আত্মবিশ্বাসী মনে হওয়ায় তাকে টেস্ট দলে ফেরানো হয়েছে, ‘বিজয় খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছে। টেস্ট ওপেনারের যে টেম্পারমেন্ট থাকতে হয়, সেটি তার মাঝে দেখছি। এই সিরিজ শেষে তাকে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষেও খেলাব। অনেকদিন তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। শক্তিশালী কোনো প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেননি। তাকে দলে ফেরানোর এটিও একটি কারণ।’
বিজয় দলে ফেরায় অফ ফর্মে থাকা দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল জয়ের একজন চট্টগ্রাম টেস্টে বাদ পড়তে পারেন। বিসিবির প্রধান নির্বাচক লিপু জানিয়েছেন, বাদ দেওয়ার আগে প্রমাণের যথেষ্ট সুযোগ তারা দিতে চেয়েছেন। অফ ফর্মে থাকা জাকির হাসানকেও ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলানোর কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এই অধিনায়ক লিপু।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’
ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।
আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।
রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।
কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?
কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।
রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।
রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।
এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।
রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।