জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ দল। ওই টেস্টের দলে ফেরানো হয়েছে এনামুল হক বিজয়কে। তিনি সাদা বলে ডিপিএল খেলছিলেন। তাকে হুট করে টেস্ট দলে ডাকার ব্যাখ্যায় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানান, প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলেন বিজয়। 

লিপু বলেন, ‘বিজয় সবসময়ই আমাদের প্রক্রিয়ায় ছিল, ভাবনায় ছিল। কাউকে দলে ফেরানোর আগে ‘এ’ দলে সুযোগ দিতে হয়, আমরা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি। গত বছর তিনি পাকিস্তানে ‘এ’ দলের সফরে ছিলেন।’ 

বিজয়ের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘এ’ দলের সিরিজে ছিলেন জাকের আলী। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে টেস্ট দলে ঢুকে জায়গা পাকা করে নিয়েছেন তিনি। তবে পাকিস্তানে গিয়ে বিজয় ভালো করতে পারেননি। বৃষ্টি বিঘ্নের কারণে দুটি চারদিনের ম্যাচের তিন ইনিংসে ব্যাট করতে পেরেছিলেন। ওই তিন ইনিংসে মাত্র ১৮ রান যোগ করেছিলেন টপ অর্ডারে ব্যাট করা বিজয়। 

তবে নির্বাচক লিপু জানিয়েছেন, ডিপিএলে ভালো করায় এবং এনামুলকে আত্মবিশ্বাসী মনে হওয়ায় তাকে টেস্ট দলে ফেরানো হয়েছে, ‘বিজয় খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছে। টেস্ট ওপেনারের যে টেম্পারমেন্ট থাকতে হয়, সেটি তার মাঝে দেখছি। এই সিরিজ শেষে তাকে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষেও খেলাব। অনেকদিন তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে। শক্তিশালী কোনো প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেননি। তাকে দলে ফেরানোর এটিও একটি কারণ।’

বিজয় দলে ফেরায় অফ ফর্মে থাকা দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল জয়ের একজন চট্টগ্রাম টেস্টে বাদ পড়তে পারেন। বিসিবির প্রধান নির্বাচক লিপু জানিয়েছেন, বাদ দেওয়ার আগে প্রমাণের যথেষ্ট সুযোগ তারা দিতে চেয়েছেন। অফ ফর্মে থাকা জাকির হাসানকেও ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলানোর কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক এই অধিনায়ক লিপু।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ