রাজউকের দুই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা, বিদ্যুৎ বিচ্ছন্ন
Published: 27th, April 2025 GMT
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জোন-২ ও জোন-৫ এর আওতাধীন এলাকায় দুটি পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে রাজউক।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাজউক বিভিন্ন অনিয়ম-ত্রুটির কারণে আদালত দুটি ৪ লাখ টাকা জরিমানা ও ২২টি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ২৪টি মিটার জব্দ করে।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা পারভিনের নেতৃত্বে জোন ৫/২ এর কেরানীগঞ্জের লেকসিটি মেইনরোড, জান্নাতবাগ মেইন রোড, ঘাটারচর এলাকায় ১৮টি নির্মাণাধীন ভবনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
আরো পড়ুন:
সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় সাংবাদিককে ১০ দিন কারাদণ্ড
ডেমরায় রাজউকের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, দেড় লাখ টাকা জরিমানা
ভবন নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ১৮টি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ২০টি মিটার জব্দ করা হয়। ভবনগুলোর রাজউকের অনুমোদিত নকশার অতিরিক্ত অংশ অপসারণ করা হয়। এই ১৮টি ভবনে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভবনগুলোর মালিকদের কাছ থেকে অনুমোদনহীন ভবন নির্মাণ না করার অঙ্গীকার নেওয়া হয়।
জোন ৫/২ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সেখানে ছিলেন অথরাইজড অফিসার মো.
এদিকে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ লিটন সরকারে নেতৃত্বে জোন ২/১ এর আওতাধীন মাস্টারপাড়া, বালুরমাঠ, হেলাল মার্কেট এলাকায় আরেকটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় ৬টি নির্মাণাধীন ভবনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
ভবন নির্মাণের বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে চারটি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও চারটি মিটার জব্দ করেন আদালত। রাজউকের অনুমোদিত নকশার বাইরে ভবনের অতিরিক্ত অংশ অপসারণ করা হয়। এসব ভবনের মালিকদের ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভবন মালিকদের কাছ থেকে জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীরকার গ্রহণ করেন আদালত, যেন তারা নির্মাণ বিধিমালার বাইরে কোনো কাজ না করেন।
এই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সেখানে ছিলেন অথরাইজড অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, ইমারত পরিদর্শকসহ রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
ঢাকা/এএএম/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জউক র এল ক য় ভবন র
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’