রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জোন-২ ও জোন-৫ এর আওতাধীন এলাকায় দুটি পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে রাজউক।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাজউক  বিভিন্ন অনিয়ম-ত্রুটির কারণে আদালত দুটি ৪ লাখ টাকা জরিমানা ও ২২টি  ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ২৪টি মিটার জব্দ করে।

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  তাহমিনা পারভিনের নেতৃত্বে জোন ৫/২ এর কেরানীগঞ্জের লেকসিটি মেইনরোড, জান্নাতবাগ মেইন রোড, ঘাটারচর  এলাকায় ১৮টি নির্মাণাধীন  ভবনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

আরো পড়ুন:

সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় সাংবাদিককে ১০ দিন কারাদণ্ড

ডেমরায় রাজউকের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, দেড় লাখ টাকা জরিমানা

ভবন নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ১৮টি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ২০টি মিটার জব্দ করা হয়। ভবনগুলোর রাজউকের অনুমোদিত নকশার অতিরিক্ত অংশ অপসারণ করা হয়। এই ১৮টি ভবনে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভবনগুলোর মালিকদের কাছ থেকে অনুমোদনহীন ভবন নির্মাণ না করার অঙ্গীকার নেওয়া হয়।

জোন ৫/২ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সেখানে ছিলেন অথরাইজড অফিসার মো.

ইলিয়াস, সহকারী অথরাইজড অফিসার কাওছার আহমেদ, প্রধান ইমারত পরিদর্শক ও অন্য ইমারত পরিদর্শক উচ্ছেদ কার্যক্রম-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ লিটন সরকারে নেতৃত্বে জোন ২/১ এর আওতাধীন মাস্টারপাড়া, বালুরমাঠ, হেলাল মার্কেট এলাকায় আরেকটি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। এ সময় ৬টি নির্মাণাধীন ভবনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

ভবন নির্মাণের বিধিমালা লঙ্ঘনের দায়ে চারটি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও চারটি মিটার জব্দ করেন আদালত। রাজউকের অনুমোদিত নকশার বাইরে ভবনের অতিরিক্ত অংশ অপসারণ করা হয়। এসব ভবনের মালিকদের ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ভবন মালিকদের কাছ থেকে জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীরকার গ্রহণ করেন আদালত, যেন তারা নির্মাণ বিধিমালার বাইরে কোনো কাজ না করেন।

 এই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় সেখানে ছিলেন অথরাইজড অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক, ইমারত পরিদর্শকসহ রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ঢাকা/এএএম/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জউক র এল ক য় ভবন র

এছাড়াও পড়ুন:

মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি

১ মাস আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র। অথচ এসব যন্ত্রগুলো বিভিন্ন দপ্তর, অফিস ও ক্লাস রুমের দেয়ালে ঝুলছে। ফলে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

‎বুধবার (৩০ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

‎সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একাডেমিক ভবনগুলোতে নেই পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডার। আবারে যেখানে, সেগুলোর বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ। চলতি বছরের ২৯ জুন এগুলোর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

আরো পড়ুন:

তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন

‘ডাকসু হলো, রাকসু হলো, চাকসু কেন থেমে গেল’

‎ইতিহাস ও প্রত্নতত্ন বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবিব রকি বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও সেগুলোর মেয়াদ নেই। ঘটনাক্রমে আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে এই মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের রাসায়নিক পদার্থ ঠিকভাবে কাজ না করলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আতঙ্ক সৃষ্টি করবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এগুলো দ্রুত পরিবর্তন করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

‎মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রুদ্র সূত্রধর বলেন, “মেয়াদোত্তীর্ণ ফায়ার এক্সটিংগুইশার প্রায়ই কাজ করে না বা অল্প সময়ে গ্যাস শেষ হয়ে যায়। ফলে জরুরি অবস্থায় আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ঘটতে পারে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জীবন সরাসরি ঝুঁকির মুখে পড়ে। এ অবস্থায় নিরাপত্তার ঘাটতি একটি বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।”

‎‎এ বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার উপ-রেজিস্ট্রার লোকমান হাকিম বলেন, “এ বিষয়ে টেন্ডার হয়ে গেছে। টেন্ডার কেউ পেয়েছে। কাজের অনুমতি পেলে তারা কাজ শুরু করবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হারুন অর রশিদ বলেন, “যারা কাজটা পেয়েছে। তারা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো লাগাবে। কিন্তু এখনো লাগায়নি। আর এটা নিয়মিত কাজের অন্তর্ভুক্ত।”

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেয়াদোত্তীর্ণ অগ্নিনির্বাপকে চলছে বেরোবি