৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ব্যাখ্যা দিল আইসিবি
Published: 28th, April 2025 GMT
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও উচ্চ সুদে নেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টির বিপরীতে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ৩ হাজার কোটি টাকার তহবিল দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তহবিল কোন কোন খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে আইসিবি।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই ব্যাখ্যা হাজির করেছে আইসিবি।
এতে বলা হয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও উচ্চ সুদে নেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সদাশয় সরকারের রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টির বিপরীতে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ৩ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর ও বিতরণ করে।
বিতরণ করা অর্থ যথাযথ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আইসিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বোর্ডের দুজন পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। আইসিবির প্রস্তাব ও মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন অনুসারে ওই কমিটির তত্ত্বাবধানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির সিকিউরিটিজে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।
কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংক, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে পুঁজিবাজারে সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ইতোপূর্বে উচ্চ সুদে গৃহীত ঋণের অংশবিশেষ পরিশোধে ব্যয় করা হয়েছে।
ওই তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নিরীক্ষা কায়ক্রম সম্পন্ন করে আইসিবি পরিচালনা বোর্ডকেও আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে অবিহিত করা হয়েছে, বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
ঢাকা/এনটি/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা
‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’
এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন।
এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’
প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’
প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।