পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও উচ্চ সুদে নেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার প্রদত্ত রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টির বিপরীতে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ৩ হাজার কোটি টাকার তহবিল দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তহবিল কোন কোন খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা দিয়েছে আইসিবি।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই ব্যাখ্যা হাজির করেছে আইসিবি।

এতে বলা হয়, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও উচ্চ সুদে নেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোধে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক সদাশয় সরকারের রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টির বিপরীতে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ৩ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর ও বিতরণ করে।

বিতরণ করা অর্থ যথাযথ ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আইসিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বোর্ডের দুজন পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। আইসিবির প্রস্তাব ও মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন অনুসারে ওই কমিটির তত্ত্বাবধানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির সিকিউরিটিজে ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

কমিটির সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ২ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংক, নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান থেকে পুঁজিবাজারে সহায়তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ইতোপূর্বে উচ্চ সুদে গৃহীত ঋণের অংশবিশেষ পরিশোধে ব্যয় করা হয়েছে।

ওই তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নিরীক্ষা কায়ক্রম সম্পন্ন করে আইসিবি পরিচালনা বোর্ডকেও আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে অবিহিত করা হয়েছে, বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। 

ঢাকা/এনটি/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইস ব

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ