এখনো শ্রমিকদের লড়াই করতে হচ্ছে, কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি
Published: 1st, May 2025 GMT
ন্যায্য মজুরি ও অধিকার আদায়ের জন্য এখনো শ্রমিকদের লড়াই করতে হচ্ছে। বিভিন্ন সেক্টরে ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি। অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে নিপীড়িত শ্রমিকদের এই লড়াই ও সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিলে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) চট্টগ্রামের সভাপতি ও সরকার গঠিত শ্রম কমিশনের সদস্য শ্রমিকনেতা তপন দত্ত এসব কথা বলেন। টিইউসি নগরের কাজীর দেউড়ি মোড়ে এ সমাবেশের আয়োজন করে। এতে তপন দত্ত সভাপতিত্ব করেন।
সমাবেশে নির্মাণ, হোটেল, বেসরকারি হাসপাতাল, চা, পোশাক, রিকশা, পরিবহন, জাহাজভাঙা, পাটকলশ্রমিকসহ বিভিন্ন সংগঠন অংশ নেয়।
তপন দত্ত বলেন, ‘১৮৮৬ সালে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের যে আন্দোলনের শুরু হয়েছিল, তা এখনো চলছে। শ্রমিকদের আট ঘণ্টার কর্মঘণ্টা ও ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিত করা যায়নি। কর্মক্ষেত্রে তাঁরা এখনো নিপীড়নের শিকার। কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে। শ্রমিকের ঘামে গড়ে উঠেছে এই দেশ এই উন্নতি। তাই শ্রমিক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। জনগণ বাঁচবে।’
তপন দত্ত বলেন, ‘সরকার একটা শ্রম সংস্কার কমিশন করেছে। এই কমিশন স্থায়ী জাতীয় মজুরি কমিশন গঠন, ন্যূনতম মজুরি বাড়ানো, রেশনিং প্রথা চালুসহ নানা সুপারিশ করেছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।’
সমাবেশে বক্তব্য দেন শ্রমিকনেতা ইফতেখার কামাল খান, ফজলুল কবির, বেসরকারি হাসপাতাল কর্মচারী ও শ্রমিকনেতা আবদুর রহিম, হোটেল রেস্তোরাঁ শ্রমিক নেতা মো.
পরে একটি লাল পতাকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কাজীর দেউড়ি থেকে মেহেদীবাগ হয়ে প্রবর্তক মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে গণসংগীত পরিবেশন করে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী চট্টগ্রাম জেলা সংসদ।
মহান মে দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন নগরের নিউমার্কেট এলাকায় পৃথক সমাবেশ করেছে। এতে প্রধান বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী। এরপর লাল পতাকা মিছিল বের করা হয়।
বাংলাদেশ শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী দিবসটি উপলক্ষে পৃথক সমাবেশ ও মিছিল করেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়া সম্ভব
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
তিনি বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সমবায় খাতকে আধুনিক ও গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি, কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, সঞ্চয় ও ঋণদান এবং কুটিরশিল্প প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমবায়ভিত্তিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
আরো পড়ুন:
মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করতে নতুন অধ্যাদেশ অনুমোদন
নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
শনিবার (১ নভেম্বর) ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারো ১ নভেম্বর, ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সকল সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “দেশ ও জনগণের উন্নয়নে গৃহীত যেকোনো কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নে সামাজিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত অপরিহার্য। সমবায়ের অমিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ কাজ আমরা অনায়াসে করতে পারি। সমবায় সমিতিগুলো শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠানই নয় বরং সমাজের নানাবিধ সমস্যা দূর করতে বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সমবায় আন্দোলনের বিকল্প নেই। অন্তর্বর্তী সরকার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই সমাজ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে চায়। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম।”
তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আসুন, সমবায়ের চেতনাকে ধারণ করে সাম্য ও সমতায় আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলি নতুন বাংলাদেশ।”
প্রধান উপদেষ্টা ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস, ২০২৫’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। খবর বাসসের।
ঢাকা/সাইফ