স্বপ্নের শহর ঢাকা। প্রায় ৩৬০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরে দুই কোটির বেশি মানুষের বাস। জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা এসব স্বপ্নবান মানুষের ঢাকায় মাথা গোঁজার ঠাঁই মিললেও নিজের একটি বাড়ির স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা ছুটে চলেন প্রতিনিয়ত। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার এই শহরে একটু নির্মল আবাসের প্রয়াসে তাঁরা খোঁজেন বিভিন্ন আবাসিক এলাকা। এই তালিকায় পছন্দের শীর্ষে উঠে আসে ‘স্বর্ণালী’ ও ‘সানভ্যালী’ আবাসন প্রকল্প।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন স্বদেশ প্রোপার্টিজ লিমিটেডের সুপরিকল্পিত আবাসন প্রকল্প স্বর্ণালী ও সানভ্যালী। রাজউক অনুমোদিত এই দুটি আবাসন প্রকল্পে এখনই ভবন নির্মাণ করার উপযোগী আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্লট নিয়ে আগামীকাল শনিবার (৩ মে) থেকে শুরু হচ্ছে ‘স্বদেশ বৈশাখী আবাসন মেলা-১৪৩২’। চলবে ১০ মে ২০২৫ পর্যন্ত। মেলায় এককালীন মূল্য পরিশোধে বিশেষ ছাড়ে উভয় প্রকল্পে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতে প্লট ও অ্যাপার্টমেন্ট বুকিংয়ের সুযোগ পাবেন গ্রাহকেরা।

আট দিনব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে গুলশান–২–এর তাহের টাওয়ারে (অষ্টম তলা) অবস্থিত স্বদেশ প্রোপার্টিজ লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে। প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

বৈশাখী আবাসন মেলার আয়োজন নিয়ে স্বদেশ প্রোপার্টিজ লিমিটেডের বিক্রয় ও বিপণন উপদেষ্টা অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘আপনাদের স্বপ্নের আবাসন গড়ে দিতে আমরা প্রস্তুত। আমাদের এই মেলা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা, প্রকল্পগুলোর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং যাবতীয় সুবিধা সম্পর্কে গ্রাহকদের জানানো।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবারিত সবুজের মধ্যে গড়ে ওঠা এই আবাসিক এলাকায় নগরজীবনের সব সুযোগ-সুবিধাই হাতের মুঠোয় পাওয়া যাবে। এবারের মেলায় বেশ কিছু নতুন উদ্যোগে শুরু করতে যাচ্ছি। যেমন মেলায় প্রথমবার অ্যাপার্টমেন্টগুলোকেও নিয়ে আসা হয়েছে। মেলায় মূলত দুটি ল্যান্ড প্রজেক্ট এবং একটি অ্যাপার্টমেন্ট প্রজেক্ট উপস্থাপন করা হচ্ছে। রাজউক অনুমোদিত আবাসিক থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক—মেলায় সব ধরনের প্লট থাকবে। এ ছাড়া এবার সম্মিলিতভাবেও গ্রাহকেরা প্লট কেনার সুযোগ পাবেন।’

মেলা সম্পর্কে যেকোনো তথ্যের জন্য ০১৪০৪–৪৯৯৭৮৬ নম্বরে ফোন করা যাবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন স্বদেশ প্রোপার্টিজের ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট–এ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

পুরো নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনই বাতিলের চক্রান্ত কেন

যুক্তিতর্কের বালাই না রেখে পুরো নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনই কেন বাতিল করার চক্রান্ত করা হচ্ছে, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন পেশার ২২ জন গুরুত্বপূর্ণ নারী। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, যার যার যে প্রস্তাবে আপত্তি আছে, সে প্রস্তাব নিয়ে তর্কবিতর্ক দেশের গণতন্ত্রায়ণের জন্য জরুরিও বটে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, গবেষক ও মানবাধিকারকর্মী হানা শামস আহমেদ, নৃবিজ্ঞানী নাসরিন সিরাজ, সাংবাদিক সাদিয়া গুলরুখ, মানবাধিকার আইনজীবী তাবাস্‌সুম মেহেনাজ ও ইশরাত জাহান, শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মী লায়েকা বশীর, গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন সংগঠক সুলতানা বেগম, পরিবেশ আন্দোলনকর্মী সৈয়দা রত্না, থিয়েটারকর্মী নাজিফা তাসনিম খানম তিশাসহ অধিকারকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশায় থাকা ২২ নারী।

বিবৃতিতে এই নারীরা বলেন, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন নারীবান্ধব প্রস্তাব পেশ করবে, সেটিই প্রত্যাশা এবং সেটিই উচিত। একটি কমিশনের সব প্রস্তাব সবার কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে, এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। যার যার যে প্রস্তাবে আপত্তি আছে, সে প্রস্তাব নিয়ে তর্কবিতর্ক দেশের গণতন্ত্রায়ণের জন্য জরুরিও বটে। কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, কেবল নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয় এলেই একদল যেন দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।’

বিবৃতিতে প্রশ্ন রেখে বলা হয়, ‘নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলে কি তাদের খুব অসুবিধা হবে? তারা কি এই সমাজের বাইরে? যুক্তিতর্কের বালাই না রেখে তারা পুরো কমিশন বাতিল করতে চায়। এই হীন চক্রান্ত কেন?’

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, নারীকে হেয়প্রতিপন্ন করার মাধ্যমে নারীর প্রতি তারা যে আজন্ম ঘৃণা, হিংস্রতা ও নিপীড়নের মনোভাব লালন করে; সেটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাদের বক্তব্যে নারীদের নোংরাভাবে উপস্থাপন করে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত চিন্তা, চেতনা ও রাজনৈতিক সংকীর্ণতাও প্রকাশ করছে।

বিবৃতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে বলা হয়, নারীর প্রতি এই অসম্মান নিয়েই এরা রাষ্ট্র পরিচালনার স্বপ্নও দেখে। দেশের ৫১ শতাংশ নারীকে বাদ দিয়ে অথবা পদদলিত করে সরকার গঠনের দিবাস্বপ্ন কতটা অমূলক, সেটি বোঝার বোধবুদ্ধি পর্যন্ত তারা হারিয়েছে।

আরও পড়ুননারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও প্রতিবেদন বাতিলের দাবি১ ঘণ্টা আগে

চিৎকার করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া যায় না উল্লেখ করে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, সৎসাহস থাকলে নারী কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে কোথায়, কেন তাদের আপত্তি; সেটি নিয়ে তারা কথা বলতে পারে। রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণ কোনো ছেলের হাতের মোয়া নয় যে কেউ অন্যায়ভাবে হুংকার দেবে আর ভয় পেয়ে পুরো কমিশন বাদ দিয়ে দিতে হবে।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, চরমপন্থী হুমকির মুখেও নারীর অধিকার সংশোধন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে—রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জনসমক্ষে এ মর্মে ঘোষণা দিতে হবে।

এ ছাড়া ঘৃণা ও হুমকি উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, ‘নারী কমিশনের প্রত্যেক সদস্য দীর্ঘদিন ধরে দেশের সাধারণ নারীদের এগিয়ে নিয়ে যেতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নেতৃস্থানীয় নারীদের অশালীন বাক্যে গালমন্দ করা আমরা কিছুতেই মেনে নেব না।’

আরও পড়ুননারীবিষয়ক কমিশন বাতিলসহ সব দাবি না মানলে দেশ অচলের হুঁশিয়ারি হেফাজতের৫ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ