চিত্রনায়ক জায়েদ খান  এক বছর আগে দেশ ছেড়েছেন। রয়েছেন সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে। সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছে, মার্কিন মুলুকে বিয়ে করে নাকি লুকিয়ে সংসার পেতেছেন জায়েদ খান। প্রায় দু-দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়ায় এ ধরনের খবর। শোনা যায়, জায়েদ খানের স্ত্রী একজন মার্কিন প্রবাসী। তিনি নাকি আবার মিডিয়া জগতের কেউ, এমনও অনুমান অনেকের।

তবে ইন্টারনেটে বিষয়টি নিয়ে ভক্তদের আলোচনা তুঙ্গে থাকলেও কেউ স্পষ্ট প্রমাণ দিতে পারেনি। এ নিয়ে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখিও হয়েছেন জায়েদ খান। তবে এই খবর যে বেশ অনেকটাই ছড়িয়েছে, সেটিও বুঝতে বাকি নেই নায়কের।

এ বিষয়ে জায়েদ খান নিউ ইয়র্ক থেকে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে মানুষের কিছু একটা মজা করতে হবে, তাই এমন গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে।

আরে আমি এখানে রয়েছি, ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। এখানে এসে নতুন কিছু প্রজেক্টের কাজ করছি। আর নিজেকে সময় দিচ্ছি। শিগগিরই সব দেখতে পারবেন।’

বিয়ে প্রসঙ্গে জায়েদ খান বললেন, ‘বিয়ে করিনি, এটা কখন করবো চূড়ান্ত করিনি। যেহেতু নিউ ইয়র্কে রয়েছি, এটা আমার স্থায়ী ঠিকানা। তাই আপাতত ভাবছি না। বুঝতে পারি না, এসব গুজব কারা ছড়ায়।’ জায়েদ খান বিয়ে না করলেও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে গেছে তিনি হানিমুন করছেন। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা

খুলনায় মাত্র আট ঘণ্টার ব্যবধানে দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মনোয়ার হোসেন টগর নামে এক যুবক এবং শনিবার (২ আগস্ট) ভোরে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে আল-আমিন সিকদার নামে এক ভ্যানচালক খুন হন। 

দিঘলিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর নন্দনপ্রতাপ গ্রামে আল-আমিন সিকদার (৩৩) নামে এক ভ্যানচালককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত আল-আমিন ওই গ্রামের কাওসার শিকদারের ছেলে।

দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম শাহীন বলেন, “আল-আমিনের স্ত্রীর সাবেক স্বামী মো. আসাদুল ঝিনাইদহ থেকে এসে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আসাদুল পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে।”

ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

নগরীতে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
অপরদিকে, শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকায় নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে খুন হন মনোয়ার হোসেন টগর (২৫) নামে এক যুবক। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা জামাল হাওলাদারের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, রাত সোয়া ৯টার দিকে কয়েকজন যুবক টগরের বাড়িতে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা তাকে ছুরিকাঘাত করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই আবদুল হাই বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, হত্যাকারীরা টগরের পূর্ব পরিচিত।  তাদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।” 

ঢাকা/নুরুজ্জামান/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ