ঢাকাই সিনেমার নায়ক জায়েদ খান। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে জায়েদ খানকে ব্যস্ত দেখা গেলেও তা এখন কেবলই অতীত। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগেই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এখনো সেখানেই বসবাস করছেন এই নায়ক।

এদিকে, গুঞ্জন উড়ছে মার্কিন মুলুকে বিয়ে করেছেন জায়েদ খান। কনে মার্কিন নাগরিক। আর সেখানে গোপনে সংসার পেতেছেন তারা। এ নিয়ে নানা ধরনের চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সত্যি কী বিয়ে করেছেন জায়েদ খান?   

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন জায়েদ খান। নিউ ইয়র্ক থেকে একটি গণমাধ্যমে এ নায়ক বলেন, “আমাকে নিয়ে মানুষের কিছু একটা মজা করতে হবে, তাই এমন গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে।”

আরো পড়ুন:

ঈদে দূর পরবাসে থাকলেও মনটা দেশে পড়ে আছে: জায়েদ খান

ফ্লোরিডায় বাংলা সিনেমার গানে মঞ্চ মাতালেন জায়েদ খান

কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, “আরে আমি এখানে রয়েছি, ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। এখানে এসে নতুন কিছু প্রজেক্টের কাজ করছি। আর নিজেকে সময় দিচ্ছি। শিগগিরই সব দেখতে পারবেন।”

অনেক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। সেখান থেকে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত শোয়ে পারফর্ম করছেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’–তে সেলিব্রেটিদের নিয়ে টক শো উপস্থাপনা করছেন।

জায়েদ খান অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘সোনার চর’। গত বছরের শুরুতে মুক্তি পায় এটি। জাহিদ হোসেন পরিচালিত এই সিনেমায় অভিনয় করেন মৌসুমী, ওমর সানী, শহীদুজ্জামান সেলিম, শবনম পারভীন, পাপিয়া মাহি প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র করছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ