যদি–কিন্তু–দেখি নেই, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ
Published: 3rd, May 2025 GMT
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আজ শনিবার সকালে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশে অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল ৯টার দিকে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমার ভাই আবরার, আবু সাঈদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আসবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে সবচেয়ে বড় সংস্কার। এখানে যদি, কিন্তু, আচ্ছা, দেখি নেই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।'
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় সংস্কারগুলোকে পাশ কাটিয়ে প্রয়োজনীয় যেসব সংস্কার রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে যদি নারীদের অধিকার নিশ্চিত হয়, নারীদের সম্মান নিশ্চিত হয় সেগুলো করুন।'
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, হাসিনার ফাঁসি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তরুণ প্রজন্ম আন্দোলন চালিয়ে যাবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ মারা গেছে এবং দিল্লিতে তাদের জানাজা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন হাসনাত। তিনি বলেন, ‘হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ৫ আগস্ট রেড কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। সেদিনই আমরা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি।’
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সকাল ৯টায় হোফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশ হয়েছে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনে টানা ১৪ বার জয় সিঙ্গাপুরের শাসক দলের
সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে টানা ১৪ বারের মতো জয় পেয়েছে শাসক দল পিপলস অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। এর মধ্য দিয়ে নগররাষ্ট্রটিতে টানা ৬০ বছর ধরে চলা পিএপির শাসন আরও দীর্ঘয়িত হতে যাচ্ছে। ১৯৬৫ সালে সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতার আগে থেকেই সেখানে শাসন করছে পিএপি।
শনিবার সিঙ্গাপুরের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, পার্লামেন্টের ৯৭টি আসনের মধ্যে ৮৭টি পেয়েছে পিএপি। ৩৩টি নির্বাচনী এলাকার অনেকগুলোতেই বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে দলটি। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ৬৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে পিএপি। এর আগে ২০২০ সালের নির্বাচনে ৬৪ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তারা।
নির্বাচনে এই বিশাল জয় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওংয়ের প্রতি সিঙ্গাপুরের মানুষের বিপুল সমর্থনকেই তুলে ধরেছে। গত বছর তিনি সিঙ্গাপুরের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে দুই দশক ধরে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী ছিলে লি হসিং লুং। তিনি আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা লি কুয়ান ইয়েওয়ের ছেলে।
শনিবারের ফলাফল অনুযায়ী, নির্বাচনে মূল বিরোধী দল ওয়ার্কার্স পার্টি ১০টি আসনে জয় পেয়েছে। গত নির্বাচনেও তারা ১০টি আসনে পেয়েছিল। সিঙ্গাপুরে কোনো বিরোধী দলের এটি সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ার ঘটনা।
সিঙ্গাপুর বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর। শনিবারের নির্বাচনে জীবনযাত্রার ব্যয় ও বাসস্থান ছিল প্রধান বিষয়। লরেন্স ওংয়ের সরকারের জন্য তা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই রয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে সিঙ্গাপুরে অর্থনীতি মন্দার মুখে পড়তে পারে বলে এরই মধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে লরেন্সের সরকার।