দেশে অধিকাংশ জেলায় বিরতি দিয়ে বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামী কয়েক দিন এ বৃষ্টিপাতের পর আবার সারা দেশে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আগামীকাল রোববার থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জেলায় দমকা হাওয়া, বিদ্যুৎ চমকানো, বজ্রপাত ও বৃষ্টিসহ বজ্রপাতের হতে পারে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো.

ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, আগামী কয়েক দিন সারা দেশে বিরতি দিয়ে বৃষ্টি হতে পারে। সেটা ৮ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

কাল থেকে দুপুরে এক স্থানে বৃষ্টি আবার বিকেলে অন্য স্থানে বৃষ্টি এমনটা হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে ৮ আর ৯ মে থেকে বৃষ্টি কমে গিয়ে দেশে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মো. ওমর ফারুক বলেন, তবে এ সময় দেশের আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের দৈনিক বুলেটিনের তথ্যমতে, গত শুক্রবার সর্বোচ্চ ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনী জেলায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়। সর্বোচ্চ ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীর বাঘাবাড়িতে।

৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়।

বৈশাখের শুরু থেকে দেশের কোথাও কোথাও মাঝেমধ্যে কালবৈশাখী বয়ে যাচ্ছে। দেশের হাওর অঞ্চলে বজ্রপাতেও মৃত্যুর বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 

ফের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ  ছিল ২৫ দশ‌মিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। 

গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ পাওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর কমলেও আজ বুধবার রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। 

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। 

ঢাকা/নাজমুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুপার ফোরে একাধিক বাড়তি ‘সুবিধা’ পাবে ভারত
  • হাত না মেলানো, বর্জনের হুমকি আর ম্যাচ রেফারির ক্ষমাপ্রার্থনা—এরপর সামনে কী
  • ‎১০ জনের কিংস ৪ গোলে উড়িয়ে দিল মোহামেডানকে
  • সে দিন ৪ মিনিট আগে খবর পেয়েছিলেন পাইক্রফট, এরপর দুবাইয়ে যা ঘটেছিল
  • ২৫ বছর পর সেই বেনফিকাতে ফিরলেন মরিনিও
  • নবীর ব্যাটে শ্রীলঙ্কাকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল আফগানিস্তান
  • সত্যি কি ‘মণিহার’ বন্ধ হচ্ছে
  • চট্টগ্রাম চেম্বারে ‘পরিবারতন্ত্র’ পুনর্বহালের অভিযোগ
  • পাকিস্তানি খেলোয়াড়ের থ্রো লাগল আম্পায়ারের মাথায়, এরপর যা হলো
  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার