প্রথমবার মেট গালার লাল গালিচায় হাঁটবেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। এ উদ্দেশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন ‘পাঠান’ তারকা। নিউ ইয়র্ক এয়ারপোর্টে ধারণ করা শাহরুখের একটি ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

বেশ কিছু দিন ধরে খবর উড়ছে, মেট গালায় দেখা যাবে শাহরুখ খানকে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির নিউ ইয়র্ক এয়ারপোর্টের ভিডিও সেই সংশয় কাটিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া শাহরুখ খানের ভক্তদের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্ট থেকেও এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ৫ মে মেট গালার রেড কার্পেটে হাঁটবেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। তিনি প্রথম ভারতীয় অভিনেতা, যে মেট গালার রেড কার্পেটে হাঁটতে যাচ্ছেন। ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখার্জির তৈরি পোশাকে তাকে দেখা যাবে। শাহরুখকে নতুন রূপে দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা। গত বছর এই অনুষ্ঠানের লাল গালিচায় হাঁটেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।

আরো পড়ুন:

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী অভিনেতাদের তালিকায় শাহরুখ

শাহরুখের সঙ্গে দীপিকার পঞ্চম মিশন

শাহরুখ খান ছাড়াও মেট গালায় অভিষেক হতে যাচ্ছে অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি ও অভিনেতা দিলজিৎ দোসাঞ্জের।

নিউ ইয়র্কের ফ্যাশন প্রচারক এলিনর ল্যাম্বার্ট ১৯৪৮ সালে মেট গালার যাত্রা শুরু করেন। তার নবনির্মিত কস্টিউম ইনস্টিটিউটের তহবিল সংগ্রহের জন্য মেট গালা শুরু করেছিলেন। বর্তমানে মেট গালাকে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় ফ্যাশন ইভেন্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতি বছরের মে মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত হয় এই মেট গালা। ধীরে ধীরে এই অনুষ্ঠানের বিস্তৃতি ঘটে।

চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, সংগীত, থিয়েটার, ব্যবসা, খেলাধুলা, রাজনৈতিক অঙ্গনের জনপ্রিয় ব্যক্তিকে প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা যায়। শুধু আমন্ত্রিত অতিথিরাই এতে অংশ নিতে পারেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের টিকিটের মূল্য ছিল পঞ্চাশ হাজার মার্কিন ডলার; যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ