Samakal:
2025-08-04@14:00:03 GMT

বেড়েছে শেয়ার দর ও সূচক

Published: 4th, May 2025 GMT

বেড়েছে শেয়ার দর ও সূচক

চার কর্মদিবসের মধ্যে শেষ তিন দিনে বেশির ভাগ শেয়ার দর হারানোয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৭৭ পয়েন্ট হারায় গত সপ্তাহে। যদিও এপ্রিলের শেষ ওই সপ্তাহের শুরুটা হয়েছিল সূচকের ২২ পয়েন্ট বৃদ্ধি দিয়ে। 
বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তারা বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বা সরকার তাঁকে সরিয়ে দিতে যাচ্ছে– এমন একটি গুজবের কারণে গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে বেশির ভাগ শেয়ার দর ও সূচক বেড়েছিল। গতকাল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। অখ্যাত অনলাইন পোর্টালের পাশাপাশি সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে– বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে সরিয়ে নতুন একজনকে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। এমন গুজবের পর হঠাৎ করে শেয়ার দর ও সূচক বেড়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত এর সত্যতা মেলেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বড় ব্রোকারেজ হাউসের সিইও সমকালকে বলেন, লাগাতার দর পতনের জন্য বিএসইসির দুর্বল নেতৃত্বকে দায়ী করছেন বিনিয়োগকারীরা। কিছুদিন ধরে গুঞ্জন আছে, সরকার তাঁকে সরিয়ে দেবে। এ নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রভাব ছিল শেয়ারবাজারে।
ধারাবাহিক পতনের পর গতকাল বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী সতর্ক বিনিয়োগ কৌশলে থাকায় প্রথম ঘণ্টায় আড়াই শতাধিক শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৮০টিরও কম শেয়ারের দর হ্রাসের পরও সূচক বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২০ পয়েন্ট। মাঝের দুই ঘণ্টায় বেশির ভাগ শেয়ার দর হারালে সূচক উল্টো ৭ পয়েন্ট হারিয়ে নেমেছিল ৪৯১০ পয়েন্টে।
শেষ দেড় ঘণ্টায় স্বাভাবিক লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রমাগত শেয়ার দর ও সূচক বৃদ্ধির গতি বাড়ে। দিনের সর্বনিম্ন অবস্থান থেকে টানা ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪৯৬৯ পয়েন্ট ছাড়িয়েছিল ডিএসইএক্স। শেয়ারদরের সমাপনী মূল্যের হিসাবে ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে সূচক থামে ৪৯৫৬ পয়েন্টে।
দিন শেষের তথ্য অনুযায়ী, এদিন ডিএসইতে ২৯০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৬৫টি দর হারিয়েছে, অপরিবর্তিত ৩৮টির দর। পুরো দিনে কেনাবেচা হয়েছে ৩৯৯ কোটি টাকার শেয়ার, যা আগের কর্মদিবসের তুলনায় পৌনে ৭৩ কোটি টাকা বেশি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র দর হ র

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সুশাসন বাড়ে: আনিসুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, “পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সুশাসন বৃদ্ধি করে। কোম্পানির স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা বৃদ্ধি করে।”

রবিবার (৩ আগস্ট) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

তিনি বলেন, “কোম্পানিগুলোর ভ্যালুয়েশন তথা বাজার মূল্যও পাওয়া যায়।পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি কোম্পানির জন্য যেমন ইতিবাচক ফলাফল আনে, তেমনি দেশের পুঁজিবাজারের জন্যও সুফল বয়ে আনে।

আরো পড়ুন:

সূচকে বড় উত্থান, হাজার কোটির ঘরে লেনদেন

অর্ধবার্ষিকে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের মুনাফা বেড়েছে ৪৪.৭৭ শতাংশ

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুসরণে সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিসমূহের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।

সভায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক ও অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ কুতুব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিয়াউল হক, বিদুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সবুর হোসেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দেলোয়ার হোসেন, বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম, পেট্রোবাংলার পরিচালক মো. শোয়েব, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ ও আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি মালিকানাধীন লাভজনক মৌল ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিসমূহকে পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্তির বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। একই সাথে দেশের যেসব বিদেশি বা বহুজাতিক কোম্পানিতে সরকারের মালিকানা রয়েছে, সেগুলোকে সরাসরি তালিকাভুক্তির মাধ্যমে দ্রুত পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বেশ কিছু কোম্পানির তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং সভায় বিশেষ করে উক্ত কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো-ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), সাইনোভিয়া (সাবেক স্যানোফি) বাংলাদেশ লিমিটেড, নোভার্টিস (বাংলাদেশ) লিমিটেড, সিনজেন্টা (বাংলাদেশ) লিমিটেড, নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড, বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেড, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেড, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন লিমিটেড, জীবন বীমা কর্পোরেশন লিমিটেড ইত্যাদি।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সুশাসন বাড়ে: আনিসুজ্জামান