Samakal:
2025-11-03@00:07:14 GMT

বেড়েছে শেয়ার দর ও সূচক

Published: 4th, May 2025 GMT

বেড়েছে শেয়ার দর ও সূচক

চার কর্মদিবসের মধ্যে শেষ তিন দিনে বেশির ভাগ শেয়ার দর হারানোয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৭৭ পয়েন্ট হারায় গত সপ্তাহে। যদিও এপ্রিলের শেষ ওই সপ্তাহের শুরুটা হয়েছিল সূচকের ২২ পয়েন্ট বৃদ্ধি দিয়ে। 
বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের বড় কর্মকর্তারা বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন বা সরকার তাঁকে সরিয়ে দিতে যাচ্ছে– এমন একটি গুজবের কারণে গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে বেশির ভাগ শেয়ার দর ও সূচক বেড়েছিল। গতকাল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। অখ্যাত অনলাইন পোর্টালের পাশাপাশি সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে– বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে সরিয়ে নতুন একজনকে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার। এমন গুজবের পর হঠাৎ করে শেয়ার দর ও সূচক বেড়েছে। যদিও শেষ পর্যন্ত এর সত্যতা মেলেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বড় ব্রোকারেজ হাউসের সিইও সমকালকে বলেন, লাগাতার দর পতনের জন্য বিএসইসির দুর্বল নেতৃত্বকে দায়ী করছেন বিনিয়োগকারীরা। কিছুদিন ধরে গুঞ্জন আছে, সরকার তাঁকে সরিয়ে দেবে। এ নিয়ে গুজব ছড়ানোর প্রভাব ছিল শেয়ারবাজারে।
ধারাবাহিক পতনের পর গতকাল বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী সতর্ক বিনিয়োগ কৌশলে থাকায় প্রথম ঘণ্টায় আড়াই শতাধিক শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৮০টিরও কম শেয়ারের দর হ্রাসের পরও সূচক বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২০ পয়েন্ট। মাঝের দুই ঘণ্টায় বেশির ভাগ শেয়ার দর হারালে সূচক উল্টো ৭ পয়েন্ট হারিয়ে নেমেছিল ৪৯১০ পয়েন্টে।
শেষ দেড় ঘণ্টায় স্বাভাবিক লেনদেন শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রমাগত শেয়ার দর ও সূচক বৃদ্ধির গতি বাড়ে। দিনের সর্বনিম্ন অবস্থান থেকে টানা ৫৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪৯৬৯ পয়েন্ট ছাড়িয়েছিল ডিএসইএক্স। শেয়ারদরের সমাপনী মূল্যের হিসাবে ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে সূচক থামে ৪৯৫৬ পয়েন্টে।
দিন শেষের তথ্য অনুযায়ী, এদিন ডিএসইতে ২৯০ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৬৫টি দর হারিয়েছে, অপরিবর্তিত ৩৮টির দর। পুরো দিনে কেনাবেচা হয়েছে ৩৯৯ কোটি টাকার শেয়ার, যা আগের কর্মদিবসের তুলনায় পৌনে ৭৩ কোটি টাকা বেশি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র দর হ র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে

চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (২ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বাড়লেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমে লেনদেন শেষ হয়েছে।

এদিন ডিএসই ও সিএসইতে আগের কার্যদিবসের চেয়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম কমলেও সিএসইতে বেড়েছে।

আরো পড়ুন:

কমোডিটি এক্সচেঞ্জ পরীক্ষামূলক চালু ডিসেম্বরে, নতুন দিগন্ত উন্মোচনের অপেক্ষা

ধ্বংসপ্রাপ্ত পুঁজিবাজারে গতি ফেরাতে কার্যক্রম চলমান: অর্থ উপদেষ্টা

বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। রবিবার সকাল থেকেই ডিএসইএক্স সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেনের শুরু হয়। তবে দুপুর ২টার দিকে তা পতনে রূপ নেয়। লেনদেনের শেষ হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। তবে গত কয়েক মাসের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন অনেক কমে গেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬.৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১১৫ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩.৬৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪.৮০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১২৮টি কোম্পানির, কমেছে ২০৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬০টির।

এদিন, ডিএসইতে মোট ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৮৩২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৭.৫১ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৩১৩ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ০.৬২ পয়েন্ট কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ১৯.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ৬৭১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ১৮৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৯৩টি কোম্পানির, কমেছে ৬৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮টির।

সিএসইতে ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিএসইতে সূচক কমলেও সিএসইতে বেড়েছে