সন্ত্রাসীদের নিয়ে গভীর রাতে চাঁদাবাজি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগে কলাবাগান থানার ওসিসহ এক এসআইকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রোববার তাদের প্রত্যাহার করা হয়। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- ওসি মোক্তারুজ্জামান ও এসআই বেলাল হোসেন।

আজ সোমবার ডিএমপির মুখপাত্র উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কোন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সাময়িক প্রত্যাহার করা হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রশাসনিক কারণে কলাবাগান থানার ওসিসহ এক এসআইকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ড.

আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, সন্ত্রাসীদের নিয়ে গভীর রাতে কলাবাগান থানার ওসির চাঁদাবাজি, অর্থ আদায়, ভাঙচুর, লুটপাট ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগের সঠিক তদন্ত ও যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএমপি কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, গত ২৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কলাবাগান থানার এসআই বেলালের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ও ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী আমার বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়ে। আমার ম্যানেজার ৯৯৯ এ ফোন করলে এক গাড়ি পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই শাহবাগ ও নিউমার্কেট থানার টহল টিমের দুটি গাড়ি এসে বাড়ির সংলগ্ন মেইন রাস্তায় থামে। ম্যানেজার দেখতে পান কলাবাগান থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান নিউমার্কেট ও শাহবাগের টহল টিমকে চলে যেতে বলেন। শাহবাগ ও নিউ মার্কেটের টহল টিমকে সংবাদ দেওয়ার জন্য আমার এক ষাটোর্ধ্ব ভাড়াটিয়া লাল মিয়া ও নাইট গার্ড লুৎফরকে কলাবাগান থানার ওসি পুলিশের গাড়িতে তুলতে নির্দেশ দেন। যা আমার বাসার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে।

তিনি বলেন, বাসার ভেতর ঢুকে মান্নান নামের একজন পুলিশ সদস্য আমাকে একটু আড়ালে নিয়ে বলেন, এই মুহূর্তে এক কোটি টাকা দিতে পারলে আমার থানায় যেতে হবে না। বাড়িতে রেখে যাবে। কী মামলা হয়েছে জানতে চাইলে তারা জানায় কোনো মামলা হয়নি, তারা টাকার জন্য এসেছে।

যদি টাকা না দেই আমার বিরুদ্ধে ১০টা মামলা হবে। অনেক দেন দরবার করার পর আমি দুই লাখ টাকা পুলিশ সদস্য বেলাল ও মান্নানের হাতে তুলে দেই। ব্যাংকিং আওয়ারের মধ্যে বাকি টাকা দেওয়ার শর্তে তিনজন সিভিল ড্রেস পরা ব্যক্তিকে আমার পাহারায় রেখে যায়। তারা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দেয়।

ভুক্তভোগী ড. আব্দুল ওয়াদুদ আরও বলেন, এ ঘটনায় ২ মে ডিএমপি কমিশনার বরার একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কল ব গ ন ড এমপ প ল শ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৮ জুন) পুলিশ লাইনস্ ড্রিল শেডে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় জেলার বিভিন্ন ইউনিটের ইউনিট ইনচার্জগণ ও ফোর্স সামষ্টিক সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। পুলিশ সুপার মহোদয় সেসব সমস্যার সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারদের নির্দেশ প্রদান করেন।

পরে দুপুরে মে মাসের বিভিন্ন মামলার অগ্রগতি বিষয়ে “অপরাধ পর্যালোচনা সভা” অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার মহোদয় ওয়ারেন্ট তামিল, অবৈধ মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার করতে নির্দেশ প্রদান করেন। 
এসময় পুলিশ সুপার মহোদয় জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে সোনারগাঁও থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ)/ মোঃ ইসলাম, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে বন্দর থানায় কর্মরত এসআই (নিঃ)/মোঃ হুমায়ুন কবির, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে সোনারগাঁও থানায় কর্মরত এএসআই (নিঃ)/ আব্দুর রশিদ, শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে সোনাগাঁও থানার এসআই (নিঃ)/ নাইমুল ইসলাম, শ্রেষ্ঠ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই (নিঃ)/ এসএম ইলিয়াস এবং শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে জেলা গোয়েন্দা শাখার কর্মরত এসআই (নিঃ)/অংকুর কুমার ভট্টাচার্য-গনকে পুরস্কৃত করেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার মহোদয়। এছাড়া জেলা পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং জেলার সকল পদমর্যাদার পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে ইয়াবা ও হেরোইনসহ ৫ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
  • রাঙ্গুনিয়ায় যুবককে গুলি করে হত্যা
  • চট্টগ্রামে মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত
  • কুমিল্লায় পুলিশ হেফাজতে বিএনপি কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ
  • ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করার অনুমতি পেলেন নোবেল
  • যশোরে সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩ 
  • নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা
  • আনিস-মোশাররফ-চাখারীর রিমান্ড, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার তুরিন আফরোজ