ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের জেরে বন্ধ হয়ে যায় পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)। নাহিদ রানাসহ নিরাপদে দেশে ফেরেন রিশাদ হোসেন। এ সময়ের গণমাধ্যমে রিশাদের একটি বক্তব্য নিয়ে তুলকালাম ঘটে যায়।

ড্যারিল মিচেল আর কখনো পাকিস্তান যাবেন না রিশাদকে উদ্ধৃত করে এমন একটি প্রতিবেদনের পরই মূলত আলোচনা শুরু হয়। সেটির জেরে রিশাদ ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চেয়েছেন , ‘‘পিএসএল যত দ্রুত সম্ভব ফিরে আসবে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা এবং প্রার্থনা। ইনশাল্লাহ খুব দ্রুতই শান্তি ফিরে আসবে সবার মাঝে। এবং বিদেশি ক্রিকেটারদের উদ্দেশে একটাই বলতে চাই বাজে বা কোন ফেক নিউজ শুনে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। আমার পক্ষ থেকে যদি কোনো ভুল তথ্য দিয়ে থাকি বা ভুল করে থাকি বা ভুল নিউজ দিয়ে থাকি সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।’’

‘‘পিএসএলের ফ্যানদের উদ্দেশ্য একটাই বলতে চাই অনেক সাপোর্ট করেছেন আমাদেরকে। এবং অনেক আনন্দিত করেছেন। লাহোর কালান্দার্স একটা পরিবারের মতো। আমাদের সবসময় হাসি আনন্দ ঠাট্টা হয়। দোয়া করি যেন এরকম সবসময় থাকে।’’

আরো পড়ুন:

যুদ্ধবিরতির পর ফের মাঠে ফিরছে আইপিএল ও পিএসএল

বাংলাদেশের পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত ‘এখনই নয়’

এর আগে রিশাদ বলেছিলেন, “স্যাম বিলিংস, ড্যারিল মিচেল, কুশল পেরেরা, ডেভিড ভিসে, টম কারান… সকলেই ভয় পেয়ে গিয়েছিল। দুবাইয়ে নামার পর মিচেল বলল, সে আর কখনও পাকিস্তানে যাবে না, বিশেষ করে এমন পরিস্থিতিতে।’’

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসএল

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ