ঈদযাত্রা: শুক্রবার থেকে মিলবে বাসের অগ্রিম টিকিট
Published: 14th, May 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী শুক্রবার (১৬ মে) থেকে দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবেন বাসমালিকরা। ২৯ মে থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত যাত্রার টিকিট এই অগ্রিম বিক্রির আওতায় থাকবে।
বুধবার (১৪ মে) বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “শুক্রবার থেকে বাস মালিকরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিন থেকে যাত্রীরা একযোগে অনলাইনে ও কাউন্টার থেকে বাসের টিকিট কিনতে পারবেন। যদিও অনেক পরিবহন এবার পুরোপুরি টিকিট অনলাইনে বিক্রি করবে। ফলে যাত্রীরা বাসের কাউন্টার ও অনলাইন–উভয় মাধ্যমেই টিকিট পাবেন।”
আরো পড়ুন:
ঈদুল আজহা: বেঙ্গল মিটের অনলাইন কোরবানি হাট
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ
অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া প্রসঙ্গে শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, “বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী বাসের ভাড়া নেওয়া হবে। ভাড়ার তালিকার বাইরে বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না। সব মালিককে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এসি বাসের ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “গত ঈদে এসি বাসের ভাড়া নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। যেহেতু, সরকার এসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করে দেয় না, ফলে মালিকরা তাদের গাড়ি কতটা বিলাসবহুল সেই অনুযায়ী একটা ভাড়া নির্ধারণ করেন।”
তিনি আরো বলেন, “এবার আমরা মালিকেরা বসেছি এবং এসি বাসের ভাড়া যেন সহনীয় পর্যায়ে রাখা হয়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের
সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।
জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’
জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’