পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী শুক্রবার (১৬ মে) থেকে দূরপাল্লার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবেন বাসমালিকরা। ২৯ মে থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত যাত্রার টিকিট এই অগ্রিম বিক্রির আওতায় থাকবে।

বুধবার (১৪ মে) বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‍“শুক্রবার থেকে বাস মালিকরা অগ্রিম টিকিট বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিন থেকে যাত্রীরা একযোগে অনলাইনে ও কাউন্টার থেকে বাসের টিকিট কিনতে পারবেন। যদিও অনেক পরিবহন এবার পুরোপুরি টিকিট অনলাইনে বিক্রি করবে। ফলে যাত্রীরা বাসের কাউন্টার ও অনলাইন–উভয় মাধ্যমেই টিকিট পাবেন।”

আরো পড়ুন:

ঈদুল আজহা: বেঙ্গল মিটের অনলাইন কোরবানি হাট

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ

অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া প্রসঙ্গে শ্যামলী এন আর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শুভঙ্কর ঘোষ রাকেশ বলেন, “বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী বাসের ভাড়া নেওয়া হবে। ভাড়ার তালিকার বাইরে বাড়তি ভাড়া নেওয়া যাবে না। সব মালিককে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

এসি বাসের ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “গত ঈদে এসি বাসের ভাড়া নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। যেহেতু, সরকার এসি বাসের ভাড়া নির্ধারণ করে দেয় না, ফলে মালিকরা তাদের গাড়ি কতটা বিলাসবহুল সেই অনুযায়ী একটা ভাড়া নির্ধারণ করেন।”

তিনি আরো বলেন, “এবার আমরা মালিকেরা বসেছি এবং এসি বাসের ভাড়া যেন সহনীয় পর্যায়ে রাখা হয়, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/হাসান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ