কারারক্ষী পদে নিয়োগের শর্তে শারীরিক উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে ন্যূনতম ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। এই শর্ত পূরণ করেও অনেক চাকরিপ্রার্থী রাজশাহীতে প্রাথমিক শারীরিক যাচাইপর্বে বাদ পড়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সোয়া ৪টা পর্যন্ত রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে বিক্ষোভ করেছেন তারা।

এ দিন সকাল ৯টা থেকে রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাঠে চাকরিপ্রার্থীদের শারীরিক যোগ্যতা যাচাই শুরু হয়। এতে অংশ নেন প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রার্থী। তাদের মধ্যে উচ্চতা মেপে প্রায় ২০০ জনকে প্রাথমিক পর্যায়েই মাঠ থেকে বের করে দেয়া হয়। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা সেখান থেকে না গিয়ে শুরুতে সড়কের পাশে অবস্থান নেন, পরে বিক্ষোভে অংশ নেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা সাময়িকভাবে সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। তবে তারা কারাগারের সামনের সড়কের পাশে বসে অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যান। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে তারা সেখান থেকে চলে যান।

আরো পড়ুন:

এইচএসসি পাসে চাকরি দিচ্ছে স্কয়ার টয়লেট্রিজ

এক্সিম ব্যাংকে চাকরি, লাগবে না অভিজ্ঞতা

পাবনা থেকে আসা চাকরিপ্রার্থী বিজয় কুমার বলেন, ‘‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে উচ্চতা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। অথচ যাদের উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি থেকে ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি— তাদের প্রাথমিক পর্যায়েই বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু যাদের উচ্চতা ৫ ফুট ৯ ইঞ্চির বেশি, তারাই মাঠে থেকে যাচাইয়ের সুযোগ পেয়েছেন। এতে আমাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে।’’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘‘যাদের বাদ দেয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে দুইজন প্রার্থীকে পরে কারারক্ষীরা নিয়ে গিয়ে মাঠে প্রবেশ করিয়েছেন— এই বলে যে তারা নাকি কর্মকর্তাদের আত্মীয়। অথচ ওই দুইজনের উচ্চতাও আমাদের মতোই ছিল। এটা স্বজনপ্রীতিরই প্রতিফলন।’’

রাজশাহীর কাটাখালী থেকে আসা চাকরিপ্রার্থী জোবায়ের হোসেন বলেন, ‘‘আমরা সরকারি নিয়ম মেনে উচ্চতা অনুযায়ী আবেদন করেছি। কিন্তু উচ্চতা মাপার পরই আমাদের বের করে দেয়া হয়। অন্য শারীরিক সক্ষমতার কোনো যাচাই না করেই এইভাবে বাদ দেয়া অন্যায়। সরকারি চাকরির প্রাথমিক বাছাইয়ে এমন অনিয়ম আগে দেখিনি।’’

এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তা অবরোধ করলে আমরা গিয়ে বোঝাই। তারা মিনিট দশেক পরেই রাস্তা ছেড়ে দেন এবং সড়কের পাশে অবস্থান করতে থাকেন। পরে বিকেলে সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান।’’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কামাল হোসেন বলেন, ‘‘৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ন্যূনতম যোগ্যতা মানে এই নয় যে তাদেরই নিতে হবে। স্বাভাবিকভাবে যাদের উচ্চতা বেশি, তারাই অগ্রাধিকার পাবেন। এটা সবখানেই এমনভাবে হয়।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘কারও আত্মীয় পরিচয়ে শারীরিক উচ্চতা কম থাকা সত্ত্বেও তাদের সুযোগ দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। এখানে অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। স্বজনপ্রীতির কোনো সুযোগই নেই।’’

ঢাকা/কেয়া/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ কর চ কর প র র থ অবস থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির সদস্য নবায়নে টিপুর হুঁশিয়ারি “স্বজনপ্রীতি চলবে না”

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু দলের নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়ে বলেছেন, "আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত কোনো ব্যক্তির সাথে আপোষ করবেন না, তাদেরকে দলে আশ্রয় বা প্রশ্রয় দেবেন না। কোনোভাবেই স্বজনপ্রীতি করা যাবে না।"

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির অন্তর্গত বন্দর থানা বিএনপির আওতাধীন ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির প্রাথমিক সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য ফরম কার্যক্রম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। 

শুক্রবার ( ২৭ জুন ) বিকেল চারটায় মদনগঞ্জ বটতলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

টিপু আরও বলেন, "গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলো—যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ—জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। এমনকি আমরাও বউ বাচ্চা নিয়ে বাড়িতে শান্তিতে ঘুমাতে পারিনি। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী যেন জনগণকে কষ্ট না দেয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।"

তিনি দলের সদস্যপদ নবায়নের ক্ষেত্রে কঠোর নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, "যারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিএনপির বিরুদ্ধে শত্রুতা করে পুলিশ-প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছে, তাদেরকে কোনোভাবেই দলে ঢুকতে দেওয়া হবে না।"

মহানগর ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. সেলিম মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ, মোঃ আশরাফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদস্য এড. রফিক আহমেদ, বন্দর থানা বিএনপির শাহেনশাহ আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা।

আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উল্লাহ টিপু, মহানগর ১৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র মাসুদুর রহমানকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ: সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন পলু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিনহাজ মিঠু, সদস্য সম্রাট হাসান সুজন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপির সদস্য নবায়নে টিপুর হুঁশিয়ারি “স্বজনপ্রীতি চলবে না”