কুমিল্লা নগরে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভের সময় এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা ওই সাংবাদিককে কিল-ঘুষি মারার পাশাপাশি তার পায়ে ছুরিকাঘাত করেন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নগরের কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার বাহার রায়হান সময় টিভিতে কর্মরত। তার ডান হাঁটুর ওপরের অংশে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, ছুরিকাঘাতের জায়গায় তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। ছুরিকাঘাতের কারণে বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত।

ছাত্রদল সূত্র জানায়, দীর্ঘ ৭ বছর পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো: রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির স্বাক্ষরিত কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের যথাক্রমে ৬ ও ১৩ সদস্যের আংশিক কমিটির অনুমোদন দেন। কমিটিতে কাজী জোবোয়ের আলম জিলানীকে সভাপতি ও এমদাদুল হক ধীমানকে সাধারণ সম্পাদক করে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল এবং নাহিদ রানাকে সভাপতি ও ফায়াজ রশিদ প্রিমুকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর ছাত্রদলের আংশিক ওই দুটি কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। রাতে এ খবর জানাজানি হওয়ার পর  ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে নেমে পড়েন নগরীর সড়কে। তাদের মুখে মুখে প্রতিবাদী স্লোগান ছিল ‘অবৈধ কমিটি মানি না মানবো না।’ এরপর তারা নগরীর বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা কুমিল্লা নগরীর পূবালী চত্বর অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগর বাসিন্দারা। ঘন্টাব্যাপী চলে এ সড়ক অবরোধ। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করার সময় ‘সময় টেলিভিশনের’ কুমিল্লা প্রতিনিধি বাহার রায়হানের ওপর হামলা চালানো হয়। 

আহত সাংবাদিক বাহার রায়হান জানান, পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিলের ছবি ফুটেজ সংগ্রহকালে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে তার হাঁটুর উপরের অংশে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা সরে যায়।

এ বিষয়ে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু রাত সোয়া ১১টার দিকে সমকালকে বলেন, দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের একটি সুন্দর কমিটি হয়েছে। কিন্তু পদবঞ্চিতরা কমিটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং সাংবাদিক বাহারের ওপর হামলা করেছে বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা দলীয়ভাবে চেষ্টা করছি হামলাকারীদের শনাক্ত করতে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকেও অনুরোধ করছি পরিচয় বের করতে। যদি হামলাকারীরা কেউ দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম সমকালকে বলেন, কারা হামলা করেছে- তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র পদবঞ চ ত র ওপর নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা

কুমিল্লা নগরে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভের সময় এক সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারীরা ওই সাংবাদিককে কিল-ঘুষি মারার পাশাপাশি তাঁর পায়ে ছুরিকাঘাত করেন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নগরের কান্দিরপাড় এলাকার পূবালী চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার বাহার রায়হান সময় টিভিতে কর্মরত। তাঁর ডান হাঁটুর ওপরের অংশে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাঁকে কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, ছুরিকাঘাতের জায়গায় তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। ছুরিকাঘাতের কারণে বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে। তিনি আশঙ্কামুক্ত।

বাহার রায়হান প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীরা রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভ মিছিলের ছবি ও ফুটেজ সংগ্রহকালে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় পুলিশের একজন কর্মকর্তা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা সরে যায়। তিনি বলেন, হামলাকারীদের পরিচয় তিনি জানেন না। তবে তাঁরা ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা–কর্মী।

বাহার রায়হান বলেন, ‘পূবালী চত্বরে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতা–কর্মীদের বিক্ষোভের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। সেখানে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও আটকে পড়ে। তখন আমি কথার কথায় বলেছি আপনারা পদবঞ্চিত হয়েছেন, রাস্তা অবরোধ না করে নেতার বাড়ির সামনে অবরোধ করেন। এ কথা বলতেই আমার ওপর হামলা চালায় তারা।’

ছাত্রদল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের নতুন কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে দুটি আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ১৩ সদস্যের এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের কমিটির ৬ সদস্যের। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন কাজী জোবায়ের আলম (জিলানী) এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এমদাদুল হক (ধীমান)। কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি হয়েছেন নাহিদ রানা এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ফায়াজ রশিদ (প্রিমু)।

বৃহস্পতিবার রাতে কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে প্রথম আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এরপরই বিক্ষোভ মিছিল বের করেন পদবঞ্চিতরা।

কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম (মিঠু) প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। রাতে মহানগর ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার পদবঞ্চিতরা কান্দিরপাড় এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন। সেখানে সাংবাদিক বাহার রায়হানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমরা এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘হামলাকারীরা বাহার রায়হানকে চড়থাপ্পড় দেওয়ার মধ্যেই ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আমরা হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি এ ঘটনা লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুমিল্লায় ছাত্রদলের পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলা