অনাপত্তিপত্র পেয়ে গেছেন। এখন দিল্লি ক্যাপিটালসের একাদশে সুযোগ পেলেই এবারের আইপিএলে দেখা যাবে মোস্তাফিজুর রহমানকে। একাদশে ফিজের খেলার সম্ভাবনাও বেশি। কারণ, মিচেল স্টার্ক আইপিএল থেকে সরে যাওয়ায় দিল্লিতে এখন মোস্তাফিজই একমাত্র বাঁহাতি পেসার।

মোস্তাফিজের দিল্লির গ্রুপ পর্বে ম্যাচ বাকি তিনটি। ১১ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ৫ নম্বরে থাকা দিল্লির প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা বেশ ভালোভাবেই আছে।

বাকি তিন ম্যাচ জিতলে অন্য কোনো সমীকরণ ছাড়াই প্লে-অফে খেলবে দিল্লি। সে কারণেই দিল্লির জন্য এই তিনটি ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ তিনটি কবে, কাদের বিপক্ষে?

দেখে নেওয়া যেতে পারে সাকিব আল হাসানের লাহোর কালান্দার্সের ম্যাচের সূচিও। লাহোরের অবশ্য গ্রুপ পর্বে ম্যাচ বাকি মাত্র একটি। পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে ১৮ মে খেলবে সাকিবের লাহোর। ম্যাচটি লাহোরের কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল। জিতলে প্লে-অফ নিশ্চিত। হারলে বাদ।

আপাতত সাকিবের এক ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও প্লে-অফে উঠলে ম্যাচের সংখ্যা বাড়তে পারে। ম্যাচ বাড়তে পারে মোস্তাফিজেরও। তবে পাকিস্তান সিরিজ থাকায় মোস্তাফিজের অনাপত্তিপত্রের মেয়াদ বিসিবি বাড়াবে কি না, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুনমোস্তাফিজ আইপিএলে চলে যাবেন বাংলাদেশের হয়ে এক ম্যাচ খেলেই৬ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নববর্ষে ড্রোন শো পরিচালনাকারী চীনা কোম্পানির ভ্যাট মওকুফ

এ বছরের পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষের দিনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ড্রোন শো হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় শত শত ড্রোন ব্যবহার করে আকাশে নানা ধরনের ড্রোন চিত্র ও রঙিন লেজার রশ্মি তুলে ধরা হয়েছিল। ঢাকার আকাশে এত বড় ড্রোন শো আর দেখা যায়নি।

চীনের সহায়তায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এই ড্রোন শোয়ের আয়োজন করে। ড্রোন শো পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সিপিএ থিয়েটার্স ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে এই শোয়ের অর্থ পরিশোধের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট মওকুফ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মূসক বিভাগ। গত ৩০ জুন এক বিশেষ আদেশে এই মওকুফ করা হয়।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ওই ড্রোন শোয়ের জন্য প্রতিষ্ঠান সিপিএ থিয়েটার্স ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে ৫ লাখ ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ সরকার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এই অর্থ চীন সরকারের কাছে অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে।

এনবিআরের ওই বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত ড্রোন শোয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ চীন সরকারের কাছে অনুদান হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে ড্রোন বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেনি এবং তাদের কোনো মুনাফা অর্জিত হয়নি। ওই অর্থ ড্রোন ভাড়া এবং আনা–নেওয়ার জন্য খরচ হয়েছে। তাই পরিশোধিত অর্থের ওপর ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে।

গত পয়লা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) বা নববর্ষের এই ড্রোন শোতে ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়কালকে তুলে ধরা হয় বিভিন্ন প্রতিকৃতির মাধ্যমে। উঠে আসে ‘২৪-এর বীর’, পায়রার খাঁচা ভাঙা থিম, ফিলিস্তিনের জন্য প্রার্থনা এবং বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের শুভেচ্ছাবার্তা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ